সাকিবদের পরাজয় কামনা করছেন মিরাজরা
বুধবার রাতে সিলেট সিক্সার্সকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে রাজশাহী কিংস। কিন্তু চারে থেকেও চারে থাকা নিশ্চিত নয় তাদের। বুধবারই যে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। অন্যদিকে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে পাঁচে থাকা সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসের হাতে আছে আরও দুই ম্যাচ। টুর্নামেন্টে পরের রাউন্ডে যেতে হলে তাই কেবল ঢাকার হারই খুলতে পারে রাজশাহীর দুয়ার।
মাঝারি মানের দল নিয়ে এবার বিপিএল শুরু করেছিল রাজশাহী। মোস্তাফিজুর রহমান, অধিনায়ক মিরাজ আর সৌম্য সরকারই ছিলেন ভরসা। দলে ছিলেন না খুব নামকরা বিদেশি কেউ। গড়পড়তা খেলোয়াড়দের নিয়েও ছয় ম্যাচ জিতেছে তারা। বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট সিক্সার্সের দেওয়া ১৯০ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতে তারা।
এমন জয়ের পর খুলে গেছে একটি সম্ভাবনার দুয়ারও। ঢাকা ডায়নামাইটস যদি নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ হেরে যায় তাহলেই ইলিমিনেটর নিশ্চিত করবে রাজশাহী। আর ঢাকা যদি এক ম্যাচ জিতে আরেক ম্যাচ হারে তাহলে দু’দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ১২। হেড টু হেড ম্যাচেও সমান সমান জয় থাকায় বিবেচনায় আসবে রানরেট। সেখানে ঢাকা অনেকটা এগিয়ে থাকায় রাজশাহীর সামনে সুযোগ একটাই- দুই ম্যাচেই ঢাকার হার।
রাজশাহী অধিনায়ক মিরাজ তাই সবটাই ছেড়ে দিলেন ভাগ্যের উপর, ‘ঢাকার ম্যাচ আছে দুইটা, আবার আমরা রানরেটেও পিছিয়ে। হয়ত এই কারণে বাদ যেতে পারি কিন্তু আমাদেরও সুযোগ আছে। দেখা যাক শেষ সময়ে কি হয়ে যায়।’
শেষ দিকে এসে বিদেশীরা জ্বলে উঠেছেন। লরি ইভান্স দেখিয়েছেন নিজের জাত। সিলেটের বিপক্ষে বিশাল রান তাড়াতেও সাবলীল ছিল তারা। তবে শেষের এই জ্বলে উঠা আরেকটু আগে হলে ভিন্ন কিছু হতো বলে আফসোসেও পুড়ছে রাজশাহী, ‘এই ম্যাচটা (সিলেটের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ) জিতে অনেক ভালো লাগছে কারণ ১৯০ রান তাড়া করা তাও দুই ওভার আগেই জিতে যাওয়া দারুণ কিছু। এর আগের দুই ম্যাচ হেরেছি তাড়া করতে পারিনি, আজ তাড়া করে জিতেছি।’
‘আমরা কিন্তু শুরুতে এমন ব্যাট করতে পারিনি, এখন যেমন পারছে। এটা একদম দুই-তিন ম্যাচের মধ্যে হলে তাহলে হয়ত অন্যরকম হতো। দিনশেষে আমরা যে ক'টা ম্যাচ জিতেছি আমাদের তা আনন্দ দিয়েছে। আমরা সব দলকে হারিয়েছি। সব চ্যাম্পিয়ন দল, ঢাকা সবাইকে হারিয়েছি। এটা ভালো লাগার বিষয়। তারপর উঠতে পারা – না পারা ভাগ্যের ব্যাপার।এটা আমাদের হাতে নেই।’
Comments