মরার আগে মরে যাওয়া ঠিক নয়: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মরার আগে আমাদের মরে যাওয়া ঠিক নয়। কেন আমরা মরে যাওয়ার আগে মরে যাচ্ছি? কেন আমরা ভয়ে ভীত হয়ে, শঙ্কিত হয়ে ঘরে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করছি? ভয়ে লুকিয়ে থাকলে আমরা বাঁচব না। এবার তো কেউ বাঁচল না।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহিংসতা ও নারী: বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।

দেশে সরকার ভয়ের পরিবেশ তৈর করেছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “একটি দেশে যখন ফ্যাসিবাদ চলে, তার সর্বপ্রথম কাজটা কী থাকে? একটি ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা, ত্রাস সৃষ্টি করা। সব জনগণের মধ্যে একটি ভীতি ছড়িয়ে দেওয়া। এই ভীতিতে বাস-রেস্টুরেন্টে কেউ কথা বলতে চান না। তাদের সফলতা এই জায়গায়। তারা একটি ভীতি ছড়িয়ে দিয়েছে, এই ভয়ভীতির কারণে কেউ আর কথাই বলতে চায় না।”

“আজকে পত্রপত্রিকা, টেলিভিশনের টক শোগুলোয় তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা বিএনপি আর ঐক্যফ্রন্টের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়ান। আওয়ামী লীগ যে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিল, সংবিধানকে লঙ্ঘন করল, সে বিষয়গুলো বলার সাহস তাঁরা পান না। যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই চেতনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হলো, এসব নিয়ে কেউ কথা বলেন না।”

ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে ইকোনমিস্টের মতো পত্রিকা ক্যাপশন করেছে, অবিচুয়ারি টু ডেমোক্রেসি। গোটা পৃথিবীর গণমাধ্যম জানে যে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। এই দেশের মানুষ ১৯৩৫ সাল থেকে ভোট দিয়ে আসছে। যে দল গণতন্ত্রের কথা বলেছে, সেই দল আজ আবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল, আজ আবার এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হলো।

সাধারণ মানুষকে নিয়ে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আপনারা ভয় পাবেন না। সারা দেশের মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছ থেকে চিরদিনের জন্য চলে গেছে। এখন সাহস নিয়ে লড়াই করতে হবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাহিদা রফিক। অনুষ্ঠানে দিলারা চৌধুরী, তাজমেরী ইসলাম, বিলকিস জাহান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

12h ago