অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘটে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই’র তল্লাশির চেষ্টার ঘটনাকে সাংবিধানিক সংকট বলে অভিযোগ করে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসেছেন।
রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি পুলিশ কমিশনারের বাড়ির সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তার নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এরপরই মমতা চলে যান ধর্মতলার মেট্রোচ্যানেল মোড়ে। সেখানেই লোহার শিটের ওপর চাদর জড়িয়ে অবস্থান নেন। এর আগে কৃষি জমি ফেরানোর দাবিতে সিঙ্গুরের টানা ১৮ দিন অনশন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সন্ধ্যার পর থেকেই কলকাতায় আচমকা ধারাবাহিক নাটকীয় ঘটনা ঘটতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে হানা দেওয়ার জন্য দুই গাড়ি সিবিআই গোয়েন্দা পৌঁছান। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিল কলকাতা পুলিশেরও বহু সদস্য। সিবিআই গোয়েন্দাদের পথ আটকে দাঁড়ায় কলকাতা পুলিশ। তাদের বাধার মুখে পড়ে সিবিআই গোয়েন্দারা কিছুসময় পিছু হটেন। এরপর আরও গোয়েন্দা সদস্য সেখানে পৌঁছালে আবারও কমিশনারের বাড়ির ভেতর ঢুকতে চেষ্টা করে সিআইবি। কিন্তু সেবার পুলিশ আর কোনও কথা বলেনি সরাসরি সিবিআই গোয়েন্দাদের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা শেক্সপিয়ার থানায় আটক ছিলেন।
সিবিআই হানার পরপরই কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ির ভেতরে প্রায় ৩০ মিনিট ছিলেন তিনি। এরপরই সেখানে অবস্থানরত সাংবাদিকদের ডেকে পাঠান এবং জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করার অভিযোগ তোলেন। একই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, রাজ্যে সংবিধানের সংকট। তাই তিনি আজ থেকেই ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে বসছেন। এই কথা বলেই তিনি ধর্মতলায় চলে যান এবং আন্দোলন শুরু করেন।
এসময় মমতার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যকে সেখানে দেখা গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনারের বাড়ির সামনে জানিয়েছেন সোমবার খোলা আকাশের নিচেই তিনি জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন।
Comments