এবার নিউজিল্যান্ডে জয়ের আশা মুশফিকের

Musfiqur Rahim
মুশফিকুর রহিম, ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্মৃতিটা ভয়ানকই বলা চলে। তিন সফরের তিনবারই হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। শেষ সিরিজে অবশ্য দুটি ম্যাচে বেশ দারুণ করে জয়ের পথে ছিল টাইগাররা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তবে এবার সে দেশে জয়ের খরা মিটবে বলেই মনে করছেন দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।

সময়ের আবর্তনে এখন আগের চেয়ে বেশ পরিণত দলই বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে গত কয়েক বছর ধরেই দারুণ ক্রিকেট খেলছে টাইগাররা। শেষ দুটি লড়াইয়ে কিউইদের বিপক্ষে জয় বাংলাদেশেরই। তবে দুটি লড়াই-ই হয়েছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। আর নিজেদের মাঠে শেষ দুইবারই তাদের হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা। এবার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে নিউজিল্যান্ডেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মুশফিক।

তাই নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ জিততে পারে কি না জানতে চাইলে মুশফিকের উত্তর, ‘তা তো অবশ্যই।’ এরপর যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘আমরা সর্বশেষ যখন সেখানে গিয়েছিলাম তখন কিন্তু আমরা দুইটা ওয়ানডেতে খুব কাছে গিয়ে হেরে গিয়েছিলাম, যা আমাদের জেতা উচিত ছিলো। কারণ নেলসনে বা ক্রাইস্টচার্চে যেটা ছিলো, আমরা যদি আরো একটু ভালো খেলতে পারতাম তাহলে কেউ জানে না কী হতো।’

২০১৬-১৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডে তিনটি ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৩৪২ রানের লক্ষ্যে ৬ উইকেটে ২৪২ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর আর পেরে ওঠেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াইটা আরও বেশি হয়। ২৫১ রানেই কিউইদের আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। এরপর ১ উইকেটেই করেছিল ১০৫ রান। কিন্তু এরপর হঠাৎ ভেঙে পড়ে দলটি।

কদিন আগেই নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। পার্শ্ববর্তী দেশের এমন পারফরম্যান্সের পর আশাটা আরও বেড়েছে মুশফিকের, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজ অবশ্যই চ্যালেঞ্জ অনেক কঠিন। ওয়ানডে সংস্করণে ভারত জিতে গেছে কিন্তু তারা ভালো লড়াই করেছে। আমার বিশ্বাস আছে আমাদের যে দল যাবে তারাও ভালো করবে।’

তবে ফলাফল যাই হোক বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের ভালো প্রস্তুতি হবে বলেই মনে করেন মুশফিক, ‘আমার মনে হয় এটা বিশ্বকাপের আগে আমাদের জন্য খুব ভালো একটা প্রস্তুতি হবে। এখানে কিছু হাই স্কোরিং ম্যাচ হতে পারে। সে দিক থেকে আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

11h ago