পুরনো শামসুরে নতুন ঝাঁজ
গেল বিপিএলে ড্রাফটে কোন দলই নেয়নি শামসুর রহমান শুভকে। পরে রংপুর রাইডার্স দলে নিয়েও না খেলিয়ে ছেড়ে দেয় তাজে । বিপিএলে সেঞ্চুরি থাকা শামসুরের জন্য সেটা ছিল বেশ অপমানেরই। এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তাকে নেওয়ার পরই তৈরি হয় কৌতূহল। শুরুতে ম্যাচ পাননি। কিন্তু সুযোগ পাওয়ার পরই দেখাতে থাকেন ঝলক। যে রংপুর তাকে দলে রাখেনি, সোমবার তাদের বিপক্ষেই শামসুরের ব্যাটে মিলল উত্তাল সময়ের ঢেউ।
প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান হিসেবে এক সময় জাতীয় দলে পা পড়েছিল শামসুর রহমান শুভর। অন্য আরও অনেকের মতো ক্যারিয়ার লম্বা হয়নি, কিছু ঝলক দেখিয়ে হারিয়ে যান দ্রুতই। ৩১ বছরের শামসুরের শেষও দেখে ফেলেছিলেন অনেকে।
এবার বিপিএল এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে দিল নতুন বিশ্বাস, নতুন শুরুর আভাস। সোমবার শেষ চার ওভারে ওভারপ্রতি ১০ রান করে নেওয়ার সমীকরণ নিয়ে নেমেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কুমিল্লার ডাক আউটে থিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদি রেখে তাকে কেন নামানো, তিনি না পারলে এই প্রশ্ন বড় হতে পারত। শামসুর রাখেননি সে সুযোগ। এভিন লুইসকে এক পাশে থামিয়ে মাত্র ১৫ বলে খেলেন ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস।
কুমিল্লাকে ম্যাচ জিতিয়ে করেছেন ব্যতিক্রমী উল্লাস। যা নজর কেড়েছে সবার। শুধু এই ম্যাচ যেন সব মিলিয়ে এবার বিপিএলে ৯ ম্যাচ খেলে ৩৫ গড়ে ২১০ রান করেছেন শামসুর। স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৩৬। সর্বোচ্চ ৪৮। সবচেয়ে শুরুত্বপূর্ণ ছিল তার খেলার ধরন। দলের চাহিদা মিটিয়ে খুব বড় ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল না, কিন্তু যতটা সুযোগ পেয়েছেন কাজে লাগিয়েছেন পুরোটাই। ব্যাট করেছেন নানান পজিশনে।
শামসুরের এমন ব্যাটিং যে কুমিল্লার জন্য বড় পাওনা তা ম্যাচ শেষে জানান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস, ‘শুভর (শামসুর) ব্যাটিং আমাদের জন্য খুবই দরকারি এবার, খুবই কার্যকর হচ্ছে। ওকে আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী শাফল করাচ্ছি, একদিন তিনে, আরেকদিন চারে, কখনও আরও পরে। সে জাতীয় দলে খেলেছে। তার মান ওরকমই আছে। বিপিএলে আগেও অনেক রান করেছে।’
২০১৩ সালের বিপিএল ৪২১ রান করেছিলেন শামসুর। টেস্টে সেঞ্চুরি আছে, ওয়ানডেও ভালো ইনিংস আছে। পুরনো কথা মনে করিয়ে ইমরুলের আশা ফাইনাল মঞ্চও মাত করবেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, ‘কোয়ালিটি আছে বলেই রান করতে পারছে। আমার বিশ্বাস ফাইনালেও সে ভালো করবে। শুভর মতো ক্রিকেটার ভালো করলে ভালো লাগে। কারণ তারা কোয়ালিটি ক্রিকেটার।’
Comments