নিজেদের এগিয়ে রাখছে কুমিল্লা
দু’দলেই আছে একঝাঁক অলরাউন্ডার, বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। স্পিন, পেস মিলিয়ে ভারসাম্যেও কেউ কারো চেয়ে কম নয়। বিপিএলের ফাইনাল আক্ষরিক অর্থেই বলা যায় সমানে সমান টক্কর। তবে প্রথম রাউন্ডে ঢাকা ডায়নামাইটসকে দুই দেখা দুবারই হারানোয় নিজেদের এগিয়ে রাখছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
প্রথম পর্বে প্রথম দেখায় গেল ২২ জানুয়ারি কুমিল্লার দেওয়া ১৫৪ রান তাড়ায় ১৪৬ রানে থামে ঢাকা। এই দুলের পরের ম্যাচটা হয়েছে রোমাঞ্চকর। কুমিল্লার করা ১২৭ রান টপকাতে গিয়ে শেষ বল পর্যন্ত জমে ছিল উত্তেজনা। ঠিক ১ রান আগে ঢাকা থামে ১২৬ রানে।
চরম চাপ সামলে এই দুই ম্যাচ জেতায় ফাইনালের আগে নিজেদের আত্মবিশ্বাস অনেক উপরে রাখছেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস, ‘এগিয়ে থাকার দিক থেকে এটাই বলতে পারেন যে আমরা দুটি ম্যাচে ওদের সঙ্গে জিতেছি। আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। কারণ একটি দলকে দুই বার যখন হারাবেন তখন আল্টিমেটলি প্রতিপক্ষ দল কিন্তু আমাদের নিয়ে তখন বেশি চিন্তা করবে আমাদের থেকে। এটাই আমার কাছে মনে হয় একটি ইতিবাচক দিক। ’
প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েই ফাইনালে উঠে বসে আছে কুমিল্লা। ফাইনালের আগে তারা পেয়েছে বিশ্রামের সুযোগ। অন্যদিকে এলিমিনেটরে চিটাগং ভাইকিংসকে হারানোর পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে তবেই ফাইনাল নিশ্চিত করতে হয়েছে ঢাকার। সব দিক থেকেই ফুরফুরে মেজাজে আছে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা। তবে মাঠে নামার পর এই ফুরফুরে ভাব উবে যেতে পারে স্নায়ু ধরে রাখতে না পারলে।
অধিনায়ক ইমরুল জানালেন, স্কিল অনুশীলন থেকেও তাদেরও চিন্তা সেটাই, ‘দেখুন এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে স্নায়ু ধরে রাখা। এখানে যে যত বেশি মাঠে ঠান্ডা থাকবে এবং যে যত পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারবে তারাই সাফল্য পাবে। বেশি উত্তেজনা থাকলে আসলে সাফল্যের সুযোগটি কম থাকে। দলের বৈঠকেও আমরা এই আলোচনা করেছি।’
‘একদিন অনুশীলন করে সবকিছু পরিবর্তন করা যায় না। বা একদিনের অনুশীলনে পরিবর্তন হবে না। আমার কাছে মনে হয় ফাইনাল ম্যাচ কালকে, সবাই অনেক উত্তেজিত থাকবে। তবে আমরা যতটুকু মাঠে উপভোগ করতে পারবো সেটা ঠিকমতো করতে পারলে আমার মনে হয় সাফল্যের সুযোগটি বেশি থাকবে।’
Comments