এখনো ঘোরের মধ্যে আছেন তামিম
৬১ বলের ইনিংসে চার মেরেছেন দশটি, কিন্তু ছক্কা মেরেছেন আরও একটি বেশি। অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে তাই রান হয়েছে ১৪১। গেলবার বিপিএলের ফাইনালের টি-টোয়েন্টির রাজা ক্রিস গেইল করেছিলেন এমন ব্যাটিং। সত্যিই কি তিনি গেইল হয়ে উঠেছিলেন, নিজের গায়ে চিমটি কেটে যেন বুঝতে হচ্ছে তাকে। ম্যাচ শেষে বললেন এখনো আছেন ঘোরের মধ্যে।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভরপুর গ্যালারি মাত করে তামিম ব্যাটকে করেন উত্তাল। দলকে ১৯৯ রান পাইয়ে দেওয়ার পর ফিল্ডিংয়ে নেমেও নিয়েছেন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ দুই ক্যাচ। ১৭ রানে জিতে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তামিম হয়েছেন সেরা।
অফ স্পিনারের বল স্নগ সুইপ। পেসারদেরকে পুল করে গ্যালারিতে পাঠানো, এগিয়ে এসে সোজা চালানো দারুণ সব শটে এগারোটি ছক্কা। বিপিএলের কোন ম্যাচে কোন বাংলাদেশি এতগুলো ছক্কা মারতে পারেননি। এমনকি এক ইনিংসে এত এত ছকা আসেনি গেইল ছাড়া অন্য কারো ব্যাটেই।
তামিমের নিজেরই তাই বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না। ম্যাচ শেষে জানালেন স্থির হয়ে হাইলাইটস দেখে বুঝবেন এদিন কি করেছেন তিনি, ‘সত্যি কথা বলতে আমি এখনো ঘোরে আছি। আমি বুঝতে পারছি না কীভাবে ব্যাট করেছি। আমি বাসায় ফিরে আবার হাইলাইটসটা দেখব। একটা সময় বিজয়ের আউটের পর অস্থির হয়ে পড়েছিলাম। পরে শান্ত হয়ে আবার শুরু করি। আমি নিশ্চিত হাইলাইটস দেখার পর বুঝতে পারব কি করেছি।’
এত রান করার পরও স্বস্তিতে ছিলেন না। প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটসও শুরু থেকেই তুলেছিল ঝড়। এক পর্যায়ে ম্যাচের লাগাম নিয়েছিলে তারাই। দল যখন ভীষণ বিপদে তখন আবার ত্রাতা তামিম। সাকিব আল হাসান আর কাইরন পোলার্ডের ভীষণ দরকারি দুই ক্যাচ জমিয়েছেন লঙ অন থেকে অনেকখানি দৌড়ে গিয়ে।
কেবল ব্যাটিং নয় ফিল্ডিং, মাঠে উপস্থিতি সব মিলিয়েই তামিম ছিলেন রাজা। নিজের কাছেও তাই কঠিন লড়াই জেতার তৃপ্তি, ‘সত্যি কথা বললে অবিশ্বাস্য উইকেট ছিল। একটা সময় ২০০ রানও কম মনে হচ্ছিল।’
‘ফাইনালে যেকোন ক্যাচ, সহজ ক্যাচ বা কঠিন ক্যাচ তা অনেক । একটা জিনিস আমি হয়ত দুরন্ত গতি ফিল্ডার না কিন্তু যেকোনো পরিস্থিতিতে ভয় পাই না। এটাও সত্যি কথা আমি হয়তো কোনো না কোনো দিন ক্যাচ মিস করবো। কোনো না কোনোদিন ভালো ক্যাচ নিব। আমি সব সময় চেষ্টা করি সুযোগ লুফে নিতে।’
Comments