‘হারকিউলিস’র সন্ধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল (৮ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, হারকিউলিস নাম ব্যবহার করে সন্দেহভাজন ধর্ষকদের হত্যার রহস্য উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
Home Minister
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রাজধানীর লালমাটিয়ায় এভাররোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল (৮ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, হারকিউলিস নাম ব্যবহার করে সন্দেহভাজন ধর্ষকদের হত্যার রহস্য উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “হারকিউলিস নামে যে বা যারা ধর্ষণকারীদের হত্যা করছে, তদন্ত করে তার রহস্য উদঘাটন করা হবে। এভাবে হত্যা করা অন্যায়। ধর্ষণকারীদের আইনের হাতে সোপর্দ করা উচিত ছিল।”

রাজধানীর লালমাটিয়ায় এভাররোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ। ধর্ষকেরা সমাজের শত্রু। তবে তাদের এই কায়দায় হত্যার নিন্দা জানাচ্ছি। হারকিউলিস নামে যারা হত্যা করছে, তারা ভালো কাজ করছে না। এটা আইনসম্মত নয়।

সম্প্রতি সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের লাশ উদ্ধারের পর ‘হারকিউলিসের’ বিষয়টি নজরে আসে। লাশ তিনটির গলায় ঝোলানো  চিরকুটে লেখা ছিল- “ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকরা সাবধান...হারকিউলিস।”

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় রাকিব হোসেন (২০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাকিব একজন মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি ছিল।

এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায়ে একই মামলার অপর আসামি সজলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এছাড়াও, গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার থেকে একজন নারী গার্মেন্টস শ্রমিককে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন রিপনের (৩৯) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বলেন, “যে দুই একটি ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো আমরা দেখছি। তদন্ত করে এর রহস্যটা আমরা উদঘাটন করবো।”   

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago