বায়ুদূষণের কবলে ঢাকার ৯০ শতাংশ বাসিন্দা

​ঢাকা নগরীর বাসিন্দাদের প্রায় ৯০ ভাগই তীব্র বায়ুদূষণের মুখে রয়েছে। দিনে দিনে দূষণ আরও তীব্রতর হচ্ছে। এই অবস্থায় নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন’ (পবা) ও মানবাধিকার সংগঠন ‘নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম’ (নাসফ)।

‘পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন’ (পবা) ও মানবাধিকার সংগঠন ‘নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম’ (নাসফ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সামনে মানববন্ধন করে। ছবি: সৌজন্য
ঢাকা নগরীর বাসিন্দাদের প্রায় ৯০ ভাগই তীব্র বায়ুদূষণের মুখে রয়েছে। দিনে দিনে দূষণ আরও তীব্রতর হচ্ছে। এই অবস্থায় নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন’ (পবা) ও মানবাধিকার সংগঠন ‘নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম’ (নাসফ)। আজ শনিবার সংগঠন দুটির যৌথভাবে মানববন্ধন থেকে নগরীতে বায়ুদূষণের উদ্বেগজনক এই চিত্র তুলে ধরা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পবা’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ মানুষই বায়ুদূষণের প্রকোপের মধ্যে রয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ৪০ শতাংশই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা নিয়ে যাচ্ছেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুকনো মৌসুমে বিপজ্জনক হারে নগরীজুড়ে বায়ুদূষণ চলছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মেরামত, নির্মাণ কাজ ও মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণেও বায়ু দূষিত হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

বাতাসে ধুলোবালি মিশে মানুষের ভোগান্তি যেমন হচ্ছে তেমনি পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই ক্ষতির আর্থিক মূল্য হিসাব করলে সেটাও বিপুল হবে বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। এই অবস্থায় বায়ুদূষণ থেকে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কার্যকর ও সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার ওপর জোর দেন তারা।

বায়ুদূষণের লাগাম টানতে ১২টি সুপারিশ করেছে পবা। সড়ক মেরামতের পর রাস্তার দুপাশ থেকে নির্মাণ সামগ্রী ও মাটি দ্রুত সরিয়ে ফেলার সুপারিশ রয়েছে এর মধ্যে।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago