রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আরও এক মাস সময় পেল সিআইডি
![bb logo bb logo](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/bb-logo.jpg?itok=vUav_AUH×tamp=1548834898)
সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আরও এক মাস সময় পেল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আজ আদেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্ত শেষ করতে এ নিয়ে ৫৮ বারের মতো সময় দেওয়া হলো।
২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন ডলার খোয়া যাওয়া ব্যাপারে আজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল সিআইডির। কিন্তু সংস্থাটির এডিশনাল সুপারিন্টেনডেন্ট মো. রায়হান উদ্দিন খান আজও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে না পারায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী সময় এক মাস সময় বাড়িয়ে দেন।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক এক শাখা ব্যবস্থাপককে গত ১০ জানুয়ারি দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির আদালত। অর্থ পাচারসহ আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ড দেওয়া হয় তাকে। প্রতিটি অভিযোগে সাত বছর করে মোট ৩২ থেকে ৫৬ বছরের সাজার রায় দেন আদালত।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এই ঘটনায় অর্থ স্থানান্তরের সুইফট সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় কিছু ভুয়া ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরি যাওয়ার পর প্রায় এক মাস ঘটনাটি চেপে রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে মার্চ মাসে ফিলিপাইনে প্রকাশিত সংবাদের বরাতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের এ সংক্রান্ত খবর বের হলে ঘটনাটি স্বীকার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঘটনার জের ধরে সেসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন আতিউর রহমান। সেই সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল দুজন ডেপুটি গভর্নরকেও।
এই ঘটনায় সে বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা একটি মামলা দায়ের করেন।
এখন পর্যন্ত ফিলিপাইন থেকে ১৫ মিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কা থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
Comments