দৃষ্টান্ত: কয়েক লাখ টাকা কুড়িয়ে পেয়ে থানায় জমা দিলেন সারোয়ার
ঢাকায় অফিসের কাজ শেষে নারায়ণগঞ্জ ফেরার পথে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় কয়েক লাখ টাকার ব্যাগ কুড়িয়ে পেয়েছেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা। আর প্রকৃত মালিককে ফেরত দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে সেই টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের শ্যামপুরের ঢাকা ম্যাচ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে।
মহৎ কাজটি যিনি করেছেন তার নাম সারোয়ার জাহান। তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবি) নারায়ণগঞ্জ শাখার জুনিয়ার অফিসার। নারায়ণগঞ্জের পাইকাপাড়া এলাকায় তার বাড়ি।
ব্যাংক কর্মকর্তা সারোয়ার দ্য ডেইলি স্টারের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিকে বলেন, ঢাকায় অফিসের কাজ শেষ করে শ্যামপুরের ঢাকা ম্যাচ এলাকার সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিকশায় রওনা দেই। অটোরিকশায় উঠতেই সিটের পাশে দেখি একটি ব্যাগ রাখা আছে। ব্যাগটি কার জিজ্ঞাসা করতেই চালক জানায় যে তার নয়। বলেন, হয়তো কোন যাত্রী ফেলে রেখে গেছে। পরে ব্যাগটি খুলে দেখতে পাই অনেকগুলো টাকা ও ছবিসহ পাসপোর্টের একটি ফটোকপি রয়েছে। যেহেতু ব্যাগটি আমার না এবং সিএনজি চালকও জানে না কার তাই ফতুল্লা থানার ওসি মঞ্জুর কাদের এর কাছে হস্তান্তর করি। যাতে এর প্রকৃত মালিকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে।
চালক মো. সোহাগ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েকজনকেই ঢাকা ম্যাচ এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই কে ব্যাগ রেখে গেছেন তা জানা নেই। তাই টাকাসহ ব্যাগটি পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বলেন, এখানে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও একটি পাসপোর্টের ফটোকপি আছে। ধারণা করা যাচ্ছে এ টাকার মালিক বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিতে কিংবা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ভুল করে ব্যাগটি ফেলে রেখে চলে যায়। সারোয়ার জাহান মহৎ মানুষ। যে এতোগুলো টাকা পেয়েও কোন লোভ না করে প্রকৃত মালিককে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে নিয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, টাকাগুলো অটোরিকশায় পাওয়া গেছে সেহেতু চালকের নাম ও সারোয়ার জাহানের নাম উল্লেখ করে একটি জিডি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যমে প্রচারসহ পাসপোর্টের ঠিকানায় যোগাযোগ করে উপযুক্ত প্রমাণের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকের কাছে টাকা ফেরত দেয়ার চেষ্টা চলছে।
Comments