মানিকগঞ্জে ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় দুই পুলিশ রিমান্ডে

মানিকগঞ্জে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
সেকেন্দার হোসেন ও মাজহারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

এই ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সাটুরিয়া থানার অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আজ জেলা আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী দুই পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে এই মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি তদন্তে সেদিনই কমিটি করে পুলিশ।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ যিনি একই সঙ্গে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ বিকেলে অভিযুক্ত দুই পুলিশকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট-৭ এর বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান পুলিশের সদর সার্কেলের এডিশনাল সুপারিন্টেনডেন্ট হাফিজুর রহমান আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিকে জানান যে কমিটির সদস্যরা অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন ও গতকাল ভিকটিমের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

ওই তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পরই ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়।

ধর্ষণের ব্যাপারে ভিকটিম এসপির কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, এসআই সেকেন্দার পাঁচ বছর আগে তার এক নারী আত্মীয়ের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকা ফেরত পেতে বুধবার বিকেলে ওই নারী আত্মীয়ের সঙ্গে সাটুরিয়া থানায় গিয়েছিলেন তিনি।

থানায় যাওয়ার পরপরই সেকেন্দার তাদের থানার পাশে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এএসআই মাজহারুল উপস্থিত হন। সেখানে তাকে ও তার আত্মীয়কে দুটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। তার কক্ষে ওই দুই পুলিশ সদস্য ইয়াবা সেবন করেন। এ সময় অস্ত্রের মুখে তাকেও ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ওই কক্ষে আটকে রেখে ওই দুই কর্মকর্তা তাকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেন। এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মানিকগঞ্জে দুই পুলিশ প্রত্যাহার

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago