এমবাপের ‘দাদা’ বুফন

ছবি: এএফপি

বয়সটা ৪১ পেরিয়েছে গত জানুয়ারিতেই। ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে দেড় যুগের বাঁধন ছিঁড়ে যোগ দিয়েছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে। যেখানে তার সতীর্থ ২০ বছরের তরুণ কিলিয়েন এমবাপের মতো খেলোয়াড়। বয়সের বিস্তর ব্যবধানের কারণেই হয়তো জিয়ানলুইজি বুফনকে ‘দাদা’ বলে ডাকেন এমবাপে। আর বুফনও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন হাসি মুখেই।

তিন ছেলের বাবা বুফন। বড় ছেলে লুইস টমাস বুফনের বয়স ১১ বছর। অথচ সেই বুফনকেই দাদা বলে ডাকেন এমবাপে। বয়োজৈষ্ঠ্ ও কনিষ্ঠ দুই খেলোয়াড় মধ্যে রসায়নটাও দারুণ। তাই এমবাপের দাদা ডাক শোনাও উপভোগ করেন এমবাপে। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ’২০ বছর বয়সী কিলিয়ানের জন্য এটা খুব স্বাভাবিক। আমি মনে করি আমি তার বাবার মতো এমনকি দাদাও। আমার কাছে মনে হয় এটা দারুণ ব্যাপার।’

বয়সের বিস্তর পার্থক্য থাকলেও এমবাপের সঙ্গে ড্রেসিং রুমে বেশ দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ বুফন। নিজের বয়স ভুলে গিয়ে তাদের সঙ্গে তরুণের মতোই আচরণ করেন বলে জানালেন এ গোলরক্ষক, ‘যখন আমি কিলিয়ানের সঙ্গে মজা করি তখন আমরা খুব বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ করি। এটা মনে যেন আমরা দুইজনই সমবয়সী। তবে সে জানে একজন সিনিয়রদের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়। আমরা দুইজনই একই মাঠ ব্যবহার করি তাই আমাকে তরুণের মতো অভিনয় করতে হয়।’

১৯ বছর বয়স থেকেই জাতীয় দলের তাঁবুতে যোগ দেন বুফন। তরুণ সময়ের তার সঙ্গে করা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ব্যবহার ভালো করেই মনে আছে তার। সে অভিজ্ঞতাটাই কাজে লাগাচ্ছেন বুফন, ‘আমার জীবনে অনেক দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রথমে তরুণ বয়সে যখন আমার চারিদিকে সিনিয়র খেলোয়াড়রা ছিল। তখন আমি তাদের কাছে সাদরে গৃহীত ছিলাম। এরপর তরুণ সবশেষে এ বয়সে। তবে আমি তাদের সঙ্গে এমনভাবেই মিশি যেন তারা আমার সমবয়সী।’

মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জয়ের আশায় প্যারিসে পারি জমিয়েছেন বুফন। যোগ দিয়েছেন মাত্র এক বছরের চুক্তিতে। তাই স্বপ্নটা এ আসরেই পূরণ করতে হবে তাকে। আর তার জন্য তরুণ এমবাপের দিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি। কারণ ইনজুরিতে পড়ে ইতোমধ্যেই ছিটকে গেছেন দলের অন্যতম সেরা দুই তারকা নেইমার ও এডিসন কাভানি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank signals market-based exchange rate regime

The central bank will allow the exchange rate of the dollar to be determined by market forces

51m ago