চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতবে পিএসজি: নেইমার

ছবি: এএফপি

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে দারুণ জয় পাওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল। যেখানে দেখা যায় সে ম্যাচে গোল দেওয়ার পর এক পায়ে খুঁড়িয়েই লাফিয়ে ওঠেন নেইমার। চিৎকার করে পাশে থাকা বন্ধুদের জড়িয়ে ধরেন তিনি। তাতেই বোঝা যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এ শিরোপা জিততে কতটা মরিয়া এ ব্রাজিলিয়ান।

গত মাসে ডান পায়ের মেটাটারসালে চোট পেয়ে এখন মাঠের বাইরে নেইমার। ছিটকে গেছেন প্রায় আড়াই মাসের জন্য। এরপর ঊরুতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে এডিনসন কাভানিও। দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছাড়াই ইউনাইটেডের বিপক্ষে দাপুটে জয়। তাই এবার চ্যাম্পিয়ন্স শিরোপা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) জিতবে বলে মনে করছেন নেইমার।

তবে ২০১২ সাল থেকে ফ্রান্সের ঘরোয়া পর্যায়ের সব শিরোপা জিতলেও ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় শিরোপা এখনও অধরা পিএসজির। তবে এবার বৃত্ত ভাঙতে চায় দলটি। মূলত ইউনাইটেডের বিপক্ষের জয়েই আস্থা বেড়েছে নেইমারের। নিজেদের ঘরের মাঠে নিশ্চিতভাবেই আরও ভালো ফলাফল আশা করছে দলটি।

এএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হবে পিএসজি। শুধু আমি নই, অসাধারণ খেলোয়াড় ও প্রতিভাবান কোচ নিয়ে পিএসজি দুর্দান্ত একটি দল। পাশাপাশি আমরা প্যারিসে খেলি তখন সমর্থকরা দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করে। কোন সন্দেহ নেই, আমরাই চ্যাম্পিয়ন হবো এবং আমিও খেলবো।’

নিজের ইনজুরির কথাও জানিয়েছেন নেইমার। ধীরে ধীরে সেরে উঠবেন জানিয়ে বলেন, ‘চিকিৎসা সবে শুরু হয়েছে। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং আমি ধীরে ধীরে সেরে উঠব। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমার চারপাশে একদল পেশাদার রয়েছে। সঙ্গে পিএসজি ও বিশ্বজুড়ে ভক্তদের সমর্থন আমার সঙ্গে রয়েছে’

তবে একই ধরণের ইনজুরি গত মার্চেও পেয়েছিলেন নেইমার। তাই সে অভিজ্ঞতা থেকেই নিজেকে শক্ত করেছেন এ ব্রাজিলিয়ান, ‘খুব ছোট থেকেই আমি ফুটবল খেলেছি। তাই ফুটবল ও সমর্থকদের উষ্ণতা থেকে দূরে থাকাটা খুবই কঠিন। ২০১৮ সালেও আমি এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি জানি, এটা কতটা বাজে। তবে এই অভিজ্ঞতা আমাকে আরো শক্তিশালী করে।’

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Migrants in Malaysia: Worker faces deportation after speaking up

Nearly 200 workers then began a strike on Friday, he said, requesting not to be named for fear of backlash.

7h ago