ভারতের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম যাত্রা শুরু করে ভারতের প্রথম দ্রুতগামী ট্রেন ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’। দিল্লি-বারাণসী শহরের মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনটি উদ্বোধনের পরদিনই দুর্ঘটনার মুখে পড়লেও আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) তা আবার যাত্রা শুরু করেছে।
‘ট্রেন-১৮’ নামে পরিচিত ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ হচ্ছে ভারতের প্রথম নিজস্ব ইঞ্জিনবিহীন রেলগাড়ি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী গুণাবলী রয়েছে দেশটির প্রথম দ্রুতগামী এই ট্রেনটির।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, একই দিনে যাত্রা শুরুর স্থানে ফিরে আসবে ‘বন্দে ভারত’। মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই ও আওরঙ্গবাদ শহরের মধ্যে চলমান ‘শতাব্দী এক্সপ্রেস’ চেয়ে ‘বন্দে ভারত’ ভ্রমণ সময় কমাবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
চেন্নাই-ভিত্তিক ইন্টেগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি ‘বন্দে ভারত’ রেলগাড়িটি তৈরি করেছে ১০০ কোটি রুপি খরচে।
ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার। তবে গতি সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতার কারণে এটি প্রতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। এর সামনে ও পেছনে চালকের জন্যে রয়েছে পৃথক দুটি কেবিন। এর ব্রেকিং ব্যবস্থা অনেক স্মার্ট। কিন্তু ব্রেক যথাযথভাবে কাজ না করায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এটি দুর্ঘটনায় পড়েছিলো।
‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ দিল্লি থেকে সকাল ৬টায় যাত্রা শুরু করে দুপুর ২টায় বারাণসী পৌঁছবে।
বাইরে থেকে দেখতে বুলেট ট্রেনের মতো এই এক্সপ্রেসে রয়েছে ১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ। কোচগুলোতে ৪৪ থেকে ৭৮ যাত্রী বহন করা যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ২টি এক্সিকিউটিভ কোচ। ট্রেনটি চলার সময় কোনো ঝাঁকুনি সৃষ্টি করে না।
চেয়ার কোচে সফর করতে চাইলে টিকিটের দাম পড়বে ১,৭৬০ রুপি এবং এক্সিকিউটিভ ক্লাসের ভাড়া ৩,৩১০ টাকা। টিকিটের দামের মধ্যেই থাকবে খাবারের দাম।
এক্সিকিউটিভ শ্রেণির কোচ দুটির চেয়ারগুলো ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যায়।
ট্রেনটিতে রয়েছে ওয়াইফাই, ইনফোটেইনমেন্ট ও এলইডি স্ক্রিন। রয়েছে প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন স্পিকার, জিপিএস এবং বায়ো ভেক্যুম। আরও রয়েছে হুইলচেয়ার, বেবিকেয়ার ও খাবারের বিশেষ ব্যবস্থা। প্রতি আসনেই রয়েছে মোবাইলফোন চার্জ দেওয়ার পয়েন্ট।
হাতের স্পর্শেই নেমে যায় জানালার পর্দা। ট্রেনের দরজা খোলা ও বন্ধ করা হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
Comments