প্রতি ৪ পেনাল্টির ১টি মিস করেন মেসি
কতো রকম অবিশ্বাস্য গোল দিয়েছেন। ২৫-৩০ গজ দূর থেকেও হরহামেশা গোল দেন। হোক না কোনো দুরূহ কোণ। ফ্রি কিক থেকে গোল দেওয়াতেও ওস্তাদ। কিন্তু সেই লিওনেল মেসি পেনাল্টি নিতে গেলেই যতো গণ্ডগোল বাঁধিয়ে ফেলেন। ১২ গজ দূর থেকে সরাসরি গোল করতে গেলেই ফুটে ওঠে তার দুর্বলতা। পরিসংখ্যানও বলছে এমন কিছুই। প্রতি ৪টি স্পটকিক নিলে প্রায় ১টি পেনাল্টি মিস করে ফেলেন পাঁচবারের বিশ্বসেরা এ খেলোয়াড়।
আগের রাতে রিয়াল ভায়াদলিলের বিপক্ষেও নড়বড়ে ছিলেন মেসি। ম্যাচে দুটি পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি। দুটি পেনাল্টিই নিয়েছেন অধিনায়ক। প্রথমটিতে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন। তবে বলে প্রায় হাত ছুঁয়ে ফেলেছিলেন গোলরক্ষক জর্দি মাসিপ। প্রায় বার ঘেঁষে নেওয়া দুর্দান্ত শট আটকাতে পারেননি। কিন্তু দ্বিতীয়টি অতটা কোণে রাখতে পারেননি মেসি। আর তা ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ফিরতি বলে হেড নিয়েও কাজ হয়নি।
আর তাতেই নতুন করে গবেষণা শুরু হয়ে গেছে, কেন পেনাল্টি নিতে এতো দুর্বল মেসি। অবশ্য ভায়াদলিদের গোলরক্ষক মাসিপ হয়তো মেসিকে একটু ভালো করে চিনেন বলেই হয়তো প্রায় দুইবারই সফলতা পেয়ে যাচ্ছিলেন। মেসিদের সঙ্গেই বার্সেলোনার যুব একাডেমি লা মাসিয়ার সদস্য তিনি। বার্সেলোনা বি দলে খেলেছেন। খেলেছেন বার্সেলোনার মূল দলেও।
বার্সেলোনার হয়ে লালিগায় এখন পর্যন্ত ৬২টি পেনাল্টি নিয়েছেন মেসি। যার মধ্যে ১২টি গোল মিস করেছেন এ আর্জেন্টাইন। আর সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলে বার্সেলোনার হয়ে এ পর্যন্ত পেনাল্টি নিয়েছেন ৮৬টি। তার ২০টিতেই ব্যর্থ। মানে প্রায় প্রতি ৪ শটে একটি করে মিস! আর নিজের পুরো ক্যারিয়ারে পেনাল্টি নিয়েছেন ১০৭টি। তার মধ্যে মিস করেছেন ২৫টি। তাতেও প্রায় ৪টিতে একটি জাল ছোঁয়নি তার শট।
মেসির ক্যারিয়ারে পেনাল্টি থেকে অধিকাংশ শট অবশ্য ডান দিকেই নিয়েছেন। বাঁ পায়ে শট নেন বলেই হয়তো এ প্রবণতা। শেষ চারটি শটও নিয়েছেন ডান দিকে। প্রথম তিনটিতে লক্ষ্যভেদ করতে পারলেও শেষটিতে পারেননি।
স্পটকিকে নিজের দুর্বলতা কখনো অস্বীকারও করেননি এ আর্জেন্টাইন। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ফ্রি কিক নেওয়া পেনাল্টি নেওয়ার চেয়ে অনেক সহজ। কারণ এতে আপনার প্রত্যাশার চাপ থাকে না।’ উল্লেখ্য ফ্রিকিকেও দারুণ সব গোল দিয়েছেন মেসি। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সেটপিসে সরাসরি ৪৯টি গোল দিয়েছেন এ তারকা।
Comments