ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মাঝখানে পুলিশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর এক গ্রুপ ক্যাম্পাসে ও অন্য গ্রুপটি ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নেয়। মাঝখানে ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, বেলা ১২টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। সেসময় দুই পক্ষের প্রায় ৩০০ সমর্থক সংঘর্ষে জরিয়ে পড়েন। এই ঘটনায় দুজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের জেরে ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়। এরপর, স্থগিত হওয়া কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থক ও এর বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেই জের ধরে আজ দুপুরে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
দুপুর দেড়টার দিকে আমাদের সংবাদদাতা জানান যে দুই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার পর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকরা এখন ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করছেন। আর বাইরে রয়েছে বিদ্রোহী গ্রুপ হিসেবে পরিচিত স্থগিত কমিটির বিরোধীরা। তাদের মাঝখানে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি যেনো আরও খারাপ না হয় তাই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, “ক্যাম্পাস শাখার নেতৃবৃন্দ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
Comments