ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত: বিজিবি মহাপরিচালক
ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী বহরমপুর গ্রামে বিজিবির গুলিতে হতাহতের ঘটনাটিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ হিসেবে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ওই এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তাদের কাছে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং আমাদের কাছেও বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য এলাকাবাসী এবং বিজিবি উভয় পক্ষ সতর্ক থাকবে।
আজ সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মো. সাফিনুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে এ ঘটনায় বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে বিজিবির উচ্চ পর্যায় থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিরীহ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ এড়ানো যেত কিনা এমন প্রশ্নে বিজিবির মহাপরিচালক সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি যেহেতু তদন্তাধীন সেক্ষেত্রে তদন্তে বেরিয়ে আসবে যে কী করা উচিৎ ছিল, কেন গুলি করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
ঠাকুরগাঁওয়ে সফরের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে মহাপরিচালক সাফিনুল ইসলাম বলেন, সফরের উদ্দেশ্যে হচ্ছে এখানে এসে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ায়। বহরমপুর গ্রামের কিছু মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি এবং ডিসি, এসপির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিষয়টি অনুধাবন করার চেষ্টা করেছি।
বিজিবির পক্ষ থেকে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমরা ডিসি-এসপির সঙ্গে আলোচনা করেছি; আমরা সেটি নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।
এসময় ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসন ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, ঠাকুরগাঁও বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সামশুল আরেফিন, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান মনির, ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Comments