শালকের বিপক্ষে সিটির রোমাঞ্চকর জয়

নিকোলাস ওতামেন্দি যখন লাল কার্ড পেলেন তখনও ১-২ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ১০ জনের দল নিয়ে এরপর করলেন আরও দুই গোল। তাতে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে সিটিজেনরা। শালকে’০৪ এর মাঠ থেকে ৩-২ গোলের দারুণ জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
ছবি: রয়টার্স

নিকোলাস ওতামেন্দি যখন লাল কার্ড পেলেন তখনও ১-২ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ১০ জনের দল নিয়ে এরপর করলেন আরও দুই গোল। তাতে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে সিটিজেনরা। শালকে’০৪ এর মাঠ থেকে ৩-২ গোলের দারুণ জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

অবশ্য শালকের গোলরক্ষকের ভুলের সুযোগে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল সিটিই। ১৯তম মিনিটে সতীর্থের ব্যাক পাস থেকে সালিফ সানেকে পাস দিতে চেয়েছিলেন গোলরক্ষক রালফ ফারমান। কিন্তু পেছন থেকে দাভিদ  সিলভা দ্রুত গতিতে এসে সে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাস দেন সের্জিও আগুয়েরোকে। আলতো টোকায় সে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি এ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

৩৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে শালকে। দানিয়েল কালিগিরির শট ডি-বক্সের মধ্যে ওতামেন্দির হাত ছুঁয়ে গেলে পেনাল্টি আবেদন করে স্বাগতিকরা। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর সফল স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন নাবিল বেন্তালেব। ৪৫তম মিনিটে নাবিলের আরেকটি সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় শালকে। ডিবক্সের মধ্যে সানেকে ফাউল করেন ফার্নানদিনহো। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

পিছিয়ে পড়া সিটি বড় ধাক্কা খায় ৬৯ মিনিটে। গুইডো বার্গস্টেলারকে ফাউল করলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কার হন ওতামেন্দি। ৮৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে অতিথিরা। লড়ে সানের দারুণ বাঁকানো ফ্রিকিক জালে জড়ালে স্বস্তি ফেরে দলটির। ৯০তম মিনিটে জয় সূচক গোলটি করেন রহিম স্টার্লিং। গোলরক্ষক এডেরসনের লম্বা বল ধরে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ ইংলিশ তারকা। ফলে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।  

Comments