কেমনে দেখিবো মায়ের মুখ!

মায়াভরা চোখে অপলক চেয়ে আছে মেয়েটি। নির্বাক মুখ। তবে চোখে-মুখে যেনো হাজারো প্রশ্ন! মনে হলো- কাকে যেনো খুঁজছে সে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজনের কোলে বসে মেয়েটি যেনো দেখছে এক বিভীষিকাময় পৃথিবীর ছবি। সেখানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সেই মেয়েটির নাম সান্নিন।
Shannin
মায়ের খোঁজে ঢামেক মর্গে পাঁচ বছর বয়সী সানিন। ছবি: পলাশ খান

মায়াভরা চোখে অপলক চেয়ে আছে মেয়েটি। নির্বাক মুখ। তবে চোখে-মুখে যেনো হাজারো প্রশ্ন! মনে হলো- কাকে যেনো খুঁজছে সে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজনের কোলে বসে মেয়েটি যেনো দেখছে এক বিভীষিকাময় পৃথিবীর ছবি। সেখানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সেই মেয়েটির নাম সানিন।

আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মর্গে আসার পর দেখা যায় এমন দৃশ্য। একজন ভদ্রলোক মেয়েটিকে কোলে নিয়ে লাশকাটা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন উদ্বিগ্ন হয়ে। এগিয়ে যাই তার সঙ্গে কথা বলতে। এখানে কেনো এসেছেন?- এমন প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ওরফে সুমন নামের সেই ব্যক্তি বললেন, “বাচ্চার আম্মুকে পাওয়া যাচ্ছে না।”

চকবাজারে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন সুমন। তার বাসা রাজধানীর রহমতগঞ্জে হলেও থাকেন চকবাজারে ঘটনাস্থলের প্রায় ২০০ গজ দূরে। স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে তার সংসার। ছোট মেয়েটির বয়স সাড়ে পাঁচ মাস।

জানালেন- আগুন লাগার ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১০টার দিকে তার স্ত্রী শীলা (২৫) ওষুধের দোকানে গিয়েছিলেন এই পাঁচ বছর বয়সী সান্নিনের জন্যে ওষুধ কিনতে। তারপর আর ফিরে আসেননি। স্ত্রীর হাতে থাকা মোবাইলফোনটিও বন্ধ।

শীলা যে দোকানে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন সেখানে সবাই মারা গিয়েছেন উল্লেখ করে সুমন বলেন, হায়দার মেডিকেল থাকা সবাই মারা গিয়েছেন। আশঙ্কা করছি, বাচ্চার মা বেঁচে নেই।

আর তাই, ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে তিনি বড় মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মর্গে- শীলার খোঁজে।

আরও পড়ুন:

পুরান ঢাকায় আর দাহ্য পদার্থের গোডাউন রাখতে দেবো না: সাঈদ খোকন

চকবাজারে আগুন: লাশ হস্তান্তরে ঢামেকে তথ্যকেন্দ্র

বাবা ছেলের জড়িয়ে ধরা লাশ

Comments