তাদের কাছে টি-টোয়েন্টিতে পরিচয় পর্বও

Robiul Islam Robi
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২৯টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ আর ৪৮টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলার পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অভিষেক হলো রবিউল ইসলাম রবির। দল হারলেও অভিষেকে খেললেন  ৫১ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম দিনের চার ম্যাচে এমন অভিষেক হয়েছে ৩৯ জন ক্রিকেটারের। বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমা যুগ থাকলেও দেশের পাইপলাইনের এই ক্রিকেটাররা এবারই প্রথম স্বাদ পেলেন মারকাটারি ক্রিকেটে নামার।

সোমবার দুই ভেন্যুতে শুরু হয় প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি। ফতুল্লায় বিকেএসপি-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচে অভিষেক হয় ১৪ জনের। মিরপুরে শেখ জামাল ধানমন্ডি আর খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ম্যাচে অভিষেক হয় ১১ জনের। সন্ধ্যায় ৯ জনের অভিষেক হয় আবাহনী ও ব্রাদার্সের খেলায়। সবচেয়ে কম ৫ জনের অভিষেক হয় লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ আর শাইনপুকুর ম্যাচে।

অনেকদিন থেকে দেশের ক্রিকেটে পরিচিত নাম রবি। গেল মৌসুমে খেলাঘরের ভরসার নাম ছিলেন তিনি। ২৯ বছর বয়েসী এই ব্যাটসম্যানের একবার পোর্ট সিটি লিগ (পিসিএল) টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। তবে ওই টুর্নামেন্টের ছিল না টি-টোয়েন্টির মর্যাদা। রবির মতো ঘরোয়া ক্রিকেটের চেনা নাম আরও কয়েকজনের পুরো ক্যারিয়ারে সাকুল্যে খেলা হয়েছে দুই/তিনটি টি-টোয়েন্টি।

বিপিএলের বিদেশীদের দাপট থাকায় সুযোগ মেলে না তাদের। এবার এই টুর্নামেন্ট তাদের কাছে হয়ে আসছে কুড়ি ওভারের সংস্করণের সঙ্গে নিজেদের পরিচয় পর্ব।

এতদিনের জমে থাকা খেদ, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে কিছু করতে না পারার আক্ষেপ অল্প পরিসরে হলেও মেটানোর সুযোগ পুরোটাই কাজে লাগাতে চান তারা।

আলাদা কোন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট না হওয়ার আক্ষেপ আছে, তবু ছোট করে হলেও একটা কিছু যে হচ্ছে তাতেই খুশি রবি ,  ‘খেলা হয় না। বিপিএলেও সুযোগ পাই না। এর আগে পিসিএল একটা টুর্নামেন্ট আমি খেলছিলাম। ওখানে পারফরম্যান্স আমার ভাল ছিল। তামিমের (তামিম ইকবাল) সঙ্গে ওপেন করেছিলাম আবাহনীর হয়ে। তারপর খেলা হয় না। খেলা না হলে কি করে নিজেকে প্রমাণ করব। এখন বিসিবিকে ধন্যবাদ এমন একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য। ’

‘এরকম টুর্নামেন্ট পেয়েছি যখন ছাড়ব না। ম্যাচ আসলে কম। আজকে একটা খেলা, কালকে একটা।  ম্যাচ আরও বেশি হলে ভাল হত।’

দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলে যারা নিয়মিয় সুযোগ পান তাদের জন্যও প্রমাণের ভিন্ন এক পরীক্ষা এই টুর্নামেন্ট। এখানে কোন বিদেশী না থাকায় পছন্দের পজিশনে খেলতে পারছেন স্থানীয়রাই, চাপের সময়ে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ ঘটছে। শেখ জামাল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের কাছে এই টুর্নামেন্ট তাই সবার জন্যই দারুণ ইতিবাচক কিছু, ‘বিপিএলে দেখতাম চারটা বিদেশি থাকে। বেশিরভাগ দল টপ অর্ডারে চারটা বিদেশী খেলায়। সেক্ষেত্রে দেখবেন টপ অর্ডারে দেশিদের সুযোগ কম থাকে। টি-টোয়েন্টিতে অবশ্যই বড় রান করতে গেলে উপরে খেলতে হবে।’

‘টুর্নামেন্ট কোনটারই গুরুত্ব কম না। অনেকেই বিপিএলে খেলতে পারে না। অনেকের জন্য ভালো প্লাটফর্ম যে এখান থেকে ভালো খেলে যদি বিপিএলে ফ্রেঞ্চাইজিদের নজরে আসে। আল্টমেটলি এই টুর্নামেন্ট ভালো কিছু হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Liberation war a founding pillar of the state: Nahid Islam

Clarifies NCP's stance opposing religious extremism, secularist ideologies

28m ago