তামিমের লড়াই থামার পর শঙ্কায় ইনিংস হার
নিউজিল্যান্ডের বিশাল লিডের নিচে চাপা পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ শুরু পেয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। জুটিতে ৮৮ রান তোলার পর সাদমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ, এরপর যেন হারায় পথও। তবে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা তামিম এই ইনিংসেও ফিফটি করে লড়াই জারি রেখেছিলেন। তিনি ফেরার পর শঙ্কা দেখা যাচ্ছে ইনিংস হারের।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পর্বতে চড়ে কিউইরা। কেন উইলিয়ামসনের ডাবল সেঞ্চুরিতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্কোর ছাড়িয়ে নেয় সাতশো। ৭১৫ রানের ইনিংস ছেড়ে দেওয়ার পর ৪৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ।
মাথার উপর বিশাল রানের বোঝা নিয়ে চমৎকার শুরু পান তামিম-সাদমান। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কের ব্যাটিং স্বর্গে খেলতে থাকেন চনমনে। উইকেটে টিকে থাকার সঙ্গে রানও বাড়াতে থাকেন তারা। ২২ ওভার ৩ বল স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি আনে ৮৮ রান। যার মধ্যে ৬৩ বলে ফিফটি করেন তামিম।
তবে এই জুটি ভাঙেন আবারও ফাঁদ পেতে বাউন্সার তাক করে বল করতে থাকা নিল ওয়েগনারই পেয়েছেন সাফল্য। সাদমানকে বাউন্সারি কুপোকাত করে নেন প্রথম উইকেট। ৭১ বলে ৩৭ রান করা সাদমান ফেরার পর ওয়ানডাউনে নেমে হতাশ করেন মুমিনুল হক।
মাত্র ৬ বলে দুই চার মেরে ট্রেন্ট বোল্টের পেসে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১০০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চারে নেমে টেস্টে নিজের কার্যকারিতা একদম দেখাতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। গালিতে ফিল্ডার রেখে বোল্ট ছেঁটেছেন তাকেও। ৪ বলে কোন রান করার আগেই বিদায় নেন তিনি। তার আউটে ১১০ রানে তৃতীয় উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ পড়ে যায় চরম বিপদে।
সেই বিপদ থেকে তামিম ছিলেন বলেই উদ্ধারের পথ খুঁজছিল বাংলাদেশ। মারার বল পেলে মারা, ধরার বল ধরে খেলার তরিকায় খেলা তামিমও উইকেটে ছিলেন স্বচ্ছন্দে। এগুচ্ছিলেন জোড়া সেঞ্চুরির দিকে। তবে টিম সাউদির বাউন্সার সর্বনাশ করেছে তার,সর্বনাশ করেছে বাংলাদেশেরও।
সাউদির লেগ স্টাম্প বরাবর বাউন্সার ডাক করতে গিয়ে পড়ে যান তামিম, বল তার ব্যাটে লেগে জমা হয় ওয়েটলিংয়ের গ্লাভসে। ১২৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৮৬ বলে ১ ছক্কা আর ১১ চারে তামিম ৭৪ রানে লড়াই থামান তামিম। ইনিংস হার এড়াতেই এখনো বিশাল পাহাড় পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে। বাকি ব্যাটসম্যানদের সেই কাজটা ভীষণ দূরহ।
Comments