ভারত পাকিস্তান গোলাগুলি, ২ সেনাসহ নিহত ৮

পাকিস্তানের হাতে আটক পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার একদিন বাদেই ফের গুলির লড়াই শুরু হয়েছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। কর্মকর্তাদের সূত্রে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরে সর্বশেষ এই ঘটনায় দুজন পাকিস্তানি সেনাসহ দুদিকেই অন্তত ছয় জন বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: এপি

পাকিস্তানের হাতে আটক পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার একদিন বাদেই ফের গুলির লড়াই শুরু হয়েছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। কর্মকর্তাদের সূত্রে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরে সর্বশেষ এই ঘটনায় দুজন পাকিস্তানি সেনাসহ দুদিকেই অন্তত ছয় জন বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার ভারতের বিমানবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে বোমা ফেলে আসার পর থেকেই থেকেই পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পাল্টা বিমান হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের দিক থেকে জবাব আসার পর বুধবার দুই দেশের জঙ্গিবিমানগুলোর লড়াই হয়। এতে ভূপাতিত হওয়া ভারতীয় মিগ-২১’র পাইলটকে আটক করে শান্তির বার্তা জানিয়ে শুক্রবারই ছেড়ে দেয় ইসলামাবাদ। এর পরই শুক্রবার রাতে ফের শুরু হয় সংঘাত। আজ শনিবারও দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এপি’র খবরে জানানো হয়, কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে তাদের দুজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। বুধবার বিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনার পর এই প্রথম পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কেউ প্রাণ হারাল।

ভারতীয় পুলিশ বলেছে, লড়াইয়ের সময় কাশ্মীরের ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশে এক নারী ও তার দুই সন্তান নিহত হয়। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পুঞ্চ এলাকায় পাকিস্তানের দিক থেকে ছোড়া একটি শেল তাদের বাড়িতে আঘাত করলে তারা মারা যায়। এই ঘটনায় ওই নারীর স্বামীও গুরুতর আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একজন সরকারি কর্মকর্তা এপিকে জানায়, ভারী অস্ত্র নিয়ে ভারতীয় বাহিনী সীমান্তের কাছের গ্রামগুলো লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গোলাগুলি করেছে। এতে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি এক বালক নিহত ও আরও তিন জন আহত হন।

এর পর কয়েক ঘণ্টা বন্দুকগুলো শান্ত থাকার পর শনিবার ফের সীমান্তে গোলাগুলি শুরু হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন করে গুলির লড়াই শুরু হলে দুজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও আরও দুজন আহত হন।

অন্যদিকে ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানি সেনারা সীমান্ত সংলগ্ন বহু ভারতীয় চৌকিকে নিশানা বানিয়েছে।

২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের এই ঘটনার জন্য দুই দেশই বিপরীত পক্ষকে দোষারোপ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago