কিউই পেসারদের সামলানোর তরিকা অধিনায়কের

Mahmudullah
ছবি: বিসিবি

সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে প্রথম ইনিংসেই। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অকপটে মেনেও নিলেন তা। দ্বিতীয় ইনিংসে তার আর সৌম্য সরকারের বীরত্বে প্রাণপণ লড়েও তাই ঠেকানো যায়নি ইনিংস হার। তবে তা থেকে ইতিবাচক কিছু দেখছেন অধিনায়ক। বিশেষ করে কিউই পেসারদের দুই কৌশল সম্পর্কে পেয়েছেন পাকা ধারণা, যা কাজে লাগাতে চান দ্বিতীয় টেস্টে।

হ্যামিল্টনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২৯ রান করেও ইনিংস ও ৫১ রানে হার। প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের ১২৬ রানেরও পরও ২৩৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া। পরে নিউজিল্যান্ডের করা ৭১৫ রানে ৪৮১ রানে বোঝা সরাতে করতে হতো অসামান্য কিছু। সেটা হয়নি। তবে যেটুকু লড়াই করেছেন তাতে ওয়েলিংটনে নামার আগে বুকে বল জমা হচ্ছে অধিনায়কের।

পঞ্চম উইকেটে সৌম্যের সঙ্গে ২৩৫ রানের জুটির সময় নতুন বল পুরনো বল সবই খেলতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। ভালো করেই বুঝেছেন কিউই পেসারদের হাবভাব। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদির পেস-স্যুয়িং। নিল ওয়েগনারের বাউন্স। কখন, কীভাবে তারা কোন বল করেন, তা পড়ে নিয়েছেন ভালো করে।

৩১৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ২২৯ বলে ১৪৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ পর্যবেক্ষণে নতুন বল আর পুরনো বলে যেমন কৌশল আঁটে কিউইরা, ‘ওরা গতির বৈচিত্র্যে দারুণ বল করে, নতুন বলে স্যুয়িং করার চেষ্টা করে, বল পুরনো হলে শর্ট বল করে। আশা করি আমাদের ব্যাটসম্যানদের একটা ধারণা হয়ে গেছে। এইগুলা চিন্তা করে যেন দ্বিতীয় টেস্টে নামতে পারি তাহলে ভালো কিছু সম্ভব।’

বুঝেছেন কিন্তু সেটা দেরিতে। দ্বিতীয় ইনিংসে এমন খেলার পর প্রথম ইনিংসের ধসের আক্ষেপও পুড়াচ্ছে তাকে, ‘আমার মনে হয় প্রথম ইনিংসে আমার সুযোগ হাতছাড়া করেছি। আরও একজন কেউ যদি বড় স্কোর করতে পারত হয়তবা আজকে ভিন্ন কিছু হতো।’

ওয়েলিংটনে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৮ মার্চ। 

Comments

The Daily Star  | English

Iran's top security body to decide on Hormuz closure

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

13h ago