কাদেরের জন্য সিঙ্গাপুর, ভারত থেকে চিকিৎসক আনা হচ্ছে

হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল নিয়ে আসা হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল নিয়ে আসা হচ্ছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে আসা হচ্ছে।

“কাদেরকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি না থাকায় তার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে আমরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে আসছি,” আজ রোববার সন্ধ্যায় বলেন তিনি।

ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা করে ডাক্তাররা তার করোনারি রক্তনালীতে তিনটি ব্লক থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। তার হার্ট এটাক হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে একটি ধমনিতে রিং বসিয়ে রক্ত চলাচলের পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকরা আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানিয়ে বলেন, কাদের এখনো বিপদমুক্ত নন। আগামী ২৪-৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর তার অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্ভব হবে।

কাদেরের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে চিকিৎসকরা জানান, এক পর্যায়ে তার হৃৎস্পন্দন কমে মিনিটে ৩৫ বার হয়ে গেলে অস্থায়ী পেসমেকার স্থাপন করা হয়। সেই সঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য আনার জন্যও চেষ্টা চালাতে হচ্ছে। তার ডান পাশের করোনারি রক্তনালীটি ১০০ শতাংশ বন্ধ রয়েছে। আর যে রক্তনালী দিয়ে হৃদপিণ্ডের পেশিতে রক্ত সরবরাহ হয় সেটিতে স্টেন্ট (রিং) বসিয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার আরেকটি করোনারি রক্তনালীতে ব্লক রয়েছে।

উন্নততর চিকিৎসার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে চিকিৎসকরা বলেন, এখনই তাকে এয়ার এম্বুলেন্সে নেওয়া হলে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হতে পারে। উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো যন্ত্র ও লোকবল এয়ার এম্বুলেন্সে থাকলেই কেবল তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

The government last night gave magistracy power to commissioned army officers with immediate effect for 60 days in order to improve law and order.

4h ago