নেইমারের কান্না দেখে যা বলেছিলেন মেসি

ছবি: এএফপি

ব্রাজিলের সান্তোস থেকে ২০১৩ সালের জুনে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনায় নাম লেখান নেইমার। তবে ইউরোপের ক্লাবে শুরুতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না এ ব্রাজিলিয়ান। তার প্রভাব পড়ছিল মাঠেও। প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে ব্যর্থ এ তারকা। এমনকি এক পর্যায়ে রাগে দুঃখে কেঁদেই ফেলেন তিনি। আর তখনই বন্ধু হয়ে তার পাশে দাঁড়ান বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। কীভাবে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন সে গল্পটা নিজেই বলেছেন নেইমার।

ইনজুরির কারণে অনেক দিন থেকেই মাঠের বাইরে নেইমার। চলতি মাসের মধ্যে মাঠের ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই বর্তমানে অবস্থান করছেন নিজ দেশ ব্রাজিলে। সেখানেই স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল গ্লোবো টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার স্মৃতিচারণ করেছেন নেইমার, ‘বার্সেলোনায় লিও (মেসি) আমার জন্য খুবই স্পেশাল একজন মানুষ ছিল। আমি সবাইকে সে গল্পটা বলি।’

শুরুর দিকে বার্সেলোনায় নিজের মতো করে খেলতে পারছিলেন না নেইমার। ভয়ও কাজ করছিল। প্রথমবারের মতো ইউরোপে। তার উপর দলে রয়েছে নামীদামী অনেক তারকা। ভুল করলে কি হবে এই ভেবে নিজেকে গুটিয়ে রাখছিলেন তিনি। ফলে চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছিল না তাকে। তবে নিজের করুণ অবস্থার কথা অকপটে স্বীকার করেন এ ব্রাজিলিয়ান, ‘আমি তখন ড্রেসিং রুমে কান্না করছিলাম। আমি আমার ফুটবলটা খেলতে পারছিলাম না। আমার কাছ থেকে কিছুই আসছিল না।’

স্মৃতি হাতরে নেইমার বললেন, ‘ওই মুহূর্তে আমার একজনের সমর্থনের খুব প্রয়োজন ছিল, দলের একজনের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। তখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ই আমার কাছে আসে। আমার হাত ধরে এবং আমাকে বলে, এখানে আসো, তোমাকে অবশ্যই তোমার মতো হতে হবে। অবশ্যই সুখী হতে হবে। সান্তোসে তুমি যেমন ছিলে তেমন হতে হবে। ভয় পেয়ো না। আমাকে বা কাউকে ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই। আমি এখানে তোমাকে সাহায্য করার জন্য রয়েছি।’

আর মেসির সে কথাই ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে বলে জানান এ ব্রাজিলিয়ান, ‘আমি শুরুতে একটু ভীতুই ছিলাম। কোন ভুল করলেই ভয় পাচ্ছিলাম। এতে আমার খেলাটা আরও জটিল হয়ে যাচ্ছিল। যখন সে (মেসি) আমাকে সমর্থন দিল তখন ছিল ম্যাচের মধ্য বিরতি। তখন আমি থেমে গিয়েছিলাম এবং ভাবছিলাম লিও কথাগুলো। লিও যদি এটা বলে থাকে তাহলে কেন নয়? এরপর আমি অনেক শান্তি পেয়েছিলাম এবং আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যাই।’

Comments

The Daily Star  | English

Customs operations resume at Ctg port after 2-day shutdown

Operations have resumed, including both import and export activities

2h ago