ইলিয়াস কাঞ্চন মিথ্যাচার করছেন: মন্ত্রণালয়

চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন পিস্তল নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নিরাপত্তা স্ক্যানার পার হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি যেসব কথা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিবৃতি দিয়ে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
Ilias kanchan
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন পিস্তল নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নিরাপত্তা স্ক্যানার পার হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি যেসব কথা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিবৃতি দিয়ে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, পিস্তল ও গুলি তাদের স্ক্যানারেই ধরা পড়েছিল। এ নিয়ে তিনি মিথ্যাচার করছেন বলে দাবি সরকারি কর্তৃপক্ষের।

সেদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ঘটনার বিবরণ দিয়ে গণমাধ্যমকে যা বলেছিলেন তা উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার বিষয়ে তিনি নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সংবাদ মাধ্যমে অন্যায়ভাবে একের পর এক অসত্য কথা বলছেন। প্রকৃতপক্ষে সেদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার ল্যাপটপের ব্যাগে থাকা পিস্তল ও গুলি অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের এন্টি হাইজ্যাকিং পয়েন্টে স্ক্যান করার সময় শনাক্ত হয়।

এই ঘটনা সম্পর্কে ইলিয়াস কাঞ্চন গতকাল বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। তার ভারী লাগেজটি পরীক্ষা করা হলে তাতে ক্ষতিকর কোনো কিছু ধরা পড়েনি।

“পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্থানে হঠাৎ আমার মনে পড়ে যে আমার লাইসেন্স করা পিস্তলটি লাগেজের ভেতরে ল্যাপটপ ব্যাগে রয়ে গেছে। তখন আমি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই এবং নিয়ম মেনে আগ্নেয়াস্ত্রটি জমা দেই।”

এই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিমানবন্দরের একজনকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।

ইলিয়াস কাঞ্চনের বক্তব্যের প্রতিবাদে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পিস্তল পাওয়া যাওয়ার পর বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার ভুল স্বীকার করেন। তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তাকে বিমানবন্দরের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিস্তলটি বহন করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ওই স্থান থেকে ফিরে যান। পরবর্তীতে তিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিমানে চট্টগ্রামে গমন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago