রোমাঞ্চকর ম্যাচে ব্রাদার্সকে হারাল রূপগঞ্জ
আগের ওভারেই আউট হয়ে গেলেন এক প্রান্ত ধরে রাখা শাহরিয়ার নাফীস। শেষ ওভারে তাই কিছুটা হলেও চাপে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। প্রয়োজন ছিল ৯ রানের। হাতে ৩ উইকেট। কিন্তু চেরাগ জানির করা সে ওভারের তৃতীয় বলে দারুণ এক ছক্কা মেরে কাজটা সহজ করে দেন মুক্তার আলী। ফলে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রূপগঞ্জ।
তবে ব্রাদার্সের দেওয়া ২২১ রানের লক্ষ্যে দারুণ সূচনা চেয়েছিল রূপগঞ্জ। দুই ওপেনার আজমির আহমেদ ও মোহাম্মদ নাঈম গড়েন ৬৭ রানের ওপেনিং জুটি। কিন্তু এরপর মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ৩টি উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পোড়ে দলটি। চতুর্থ উইকেটে আসিফ আহমেদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শাহরিয়ার নাফীস। গড়েন ৫৩ রানের জুটি।
এরপর আসিফ আউট হয়ে গেলে এক প্রান্ত ধরে রেখে ব্যাট করতে থাকেন নাফীস। পঞ্চম উইকেটে ভারতীয় রিক্রুট রিশি ধাওয়ানের সঙ্গে গড়েন ৪৭ রানের জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে স্কোরবোর্ডে ৩২ রান যোগ করেন তিনি। ম্যাচ শেষ করতে না পারলেও জয়ের ভিত গড়ে দেন এ ব্যাটসম্যান। শেষদিকে মুক্তার আলীর ব্যাটে জয় পেতে সমস্যা হয়নি তাদের।
রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন নাফীস। ৯৮ বলের ইনিংসটি সিঙ্গেলসের উপর ভর করে গড়েছেন তিনি। মাত্র ২টি চার আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া আজমির ও আসিফ ৩৮ রান করে করেন। ব্রাদার্সের পক্ষে ৬৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন জানি। মোহাম্মদ শরিফ পান ২টি উইকেট।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২ রানেই ওপেনার মিজানুর রহমানকে হারায় ব্রাদার্স। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকির সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন ফজলে মাহমুদ। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর স্কোরবোর্ডে আর ৩৯ রান যোগ করতেই ৪টি উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে দলটি।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে শরিফুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন দারুণ ছন্দে থাকা ইয়াসির আলী। গড়েন ৯০ রানের দারুণ এক জুটি। দলীয় ১৭২ রানে ইয়াসির আউট হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ করতে আউট হন শরিফুল্লাহও। এরপর শেষ দিকে মোহাম্মদ শরিফ ও হাবিবুর রহমান ৩৩ রানের জুটি গড়েন ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২০ রান সংগ্রহ করে দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির। ৬৯ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৫২ বলে ৩৫ রান করেন শরিফুল্লাহ। ফজলে মাহমুদ করেন ৩৪ রান। রূপগঞ্জের পক্ষে ২টি করে উইকেট পান মুক্তার আলী ও নাবিল সামাদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৫০ ওভারে ২২০/৮ (মিজানুর ১, জুনায়েদ ১৫, ফজলে ৩৪, হামিদুল ১৬, ইয়াসির ৬৫, জানি ৪, শরিফুল্লাহ ৩৫, শরিফ ২৪, হাবিবুর ২০, মেহেদী ৩; শহীদ ১/৩৭, ধাওয়ান ১/৬০, মুক্তার ২/৩৮, আসিফ ১/৪১, নাবিল ২/৪১)।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৯.৫ ওভারে ২২৭/৭ (আজমির ৩৮, মোহাম্মদ নাঈম ২১, নাফীস ৫৯, নাঈম ইসলাম ১, আসিফ ৩৮, ধাওয়ান ২২, জাকের ১৭, মুক্তার ১১*, শহীদ ৩*; হাবিবুর ০/৩২, মেহেদী ০/৩১, জানি ৩/৬৪, শরিফ ২/৩৫, শরিফুল্লাহ ১/২৭, নাঈম জুনিয়র ১/৩২)।
ফলাফল: লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ ৩ উইকেটে জয়ী।
Comments