কাদেরের শ্বাসনালীর নল খুলে দেওয়া হয়েছে: চিকিৎসক

Obaidul Qader
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি হওয়ায় তার শ্বাসনালীর নল খুলে দেওয়া হয়েছে।

কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক দলের সিনিয়র সদস্য ডা. সিবাস্টিন কুমার সামিকে উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ডা. আবু নাসার রিজভী হাসপাতালের লবিতে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা বিষয়ক অগ্রগতি আজ (৯ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, “সেতুমন্ত্রীর রক্তচাপ স্বাভাবিক, হৃদযন্ত্র ও কিডনি কার্যক্ষম রয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এছাড়া নিওরোলজিক্যাল কোনো সমস্যাও নেই।”

“তিনি চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। শরীরের দুর্বলতা কেটে গেলে দু’একদিনের মধ্যে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে”, জানান রিজভী।

সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সকালে এসব তথ্য জানান।

এর আগে, চিকিৎসার সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে শনিবার সকালে ব্রিফ করেন ডা. সিবাস্টিন। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের, ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মীর্জা, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. আবু নাসার রিজভী।

ওবায়দুল কাদের বর্তমানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিওলোজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ফিলিপের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে হৃদরোগে আক্রান্ত ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

গত ৩ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করার পর তার করোনারি ধমনীতে তিনটি ব্লক পান চিকিৎসকরা।

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

9h ago