সেই গেইলদেরই এই হাল!
এই কদিন আগেও ওয়ানডে সিরিজে ছক্কার তাণ্ডবে তুলকালাম করেছিলেন ক্রিস গেইলরা। সেই তারাই টি-টোয়েন্টিতে সবাই মিলে করতে পারলেন না পঞ্চাশ রানও। এমনকি ৪৫ রানে অলআউট হয়ে তাদের সঙ্গী হয়েছে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার বিব্রতকর রেকর্ড।
শুক্রবার সেন্ট কিটসে ইংলিশদের ১৮২ রানের জবাবে কোথায় পালটা ঝড় তুলবেন গেইল, হেটমায়াররা। উলটো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লেন মাত্র ৪৫ রানে। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সবচেয়ে বড় (১৩৭ রানের) জয় পেয়ে তাই তিন ম্যাচ সিরিজও জিতল ইংল্যান্ড। টেস্টে জিতেছিল উইন্ডিজ, ওয়ানডে ২-২ ড্র, আর টি-টোয়েন্টি গেল ইংলিশদের পকেটে।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে ১১.৫ ওভারেই ৪৫ রানে শেষ হয় উইন্ডিজের দৌড়। আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোন দেশ এর আগে এত কম ওভারে আর এত কম রানে টি-টোয়েন্টি অলআউট হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে রেকর্ডটি নেদারল্যান্ডের। ডাচরা ২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৩৯ রানে।
অথচ এদিন দিনের শুরুটা দিচ্ছিল ভিন্ন কিছুর আভাস। আগে ব্যাট করা ইংলিশরাই পড়েছিল ব্যাটিং বিপর্যয়ে। মাত্র ৩২ রানে হারিয়েছিল ৪ উইকেট। সেখান থেকে ৪৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে খেলা বদলে দেন স্যাম বিলিংস। বড় পূঁজি পাওয়া ইংলিশরা তেতে উঠে বল হাতেও। উইন্ডিজকে ধসিয়ে দিতে বল হাতে ঝলসে উঠেন ক্রিস জর্ডান। এই পেসার মাত্র ৬ রানে নেন ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮২/৬ (হেলস ৮, বেয়ারস্টো ১২, রুট ৫৫, মর্গ্যান ১, ডেনলি ২, বিলিংস ৮৭, উইলি ১৩*; কটরেল ১/২৮, হোল্ডার ০/২৯, অ্যালেন ২/২৯, ব্র্যাথওয়েট ১/৩৩, বিশু ০/১৭, ম্যাককয় ১/৪৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১১.৫ ওভারে ৪৫ (গেইল ৫, হোপ ৭, হেটমায়ার ১০, ব্রাভো ০, হোল্ডার ০, পুরান ১, অ্যালেন ১, ব্র্যাথওয়েট ১০, বিশু ৮, কটরেল ২, ম্যাককয় ১*; উইলি ২/১৮, কারান ০/১, জর্ডান ৪/৬, রশিদ ২/১২, প্লাঙ্কেট ২/৮)
ফল: ইংল্যান্ড ১৩৭ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: স্যাম বিলিংস
Comments