ফের শর্ট বলে নাজেহাল হয়ে দারুণ শুরু জলাঞ্জলি
হ্যামিল্টনে যে কৌশলে সফল হয়েছিল নিউজিল্যান্ড, সেই কৌশল ওয়েলিংটনেও কাজে লাগাবে- এমন ঘোষণা তারা আগেভাগেই দিয়েছিল। বাংলাদেশও জানত ধেয়ে আসবে নিল ওয়েগনারদের শরীর তাক করা একের পর এক বাউন্সার। বিপদ জানা থাকলেও তার থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পেলেন না ব্যাটসম্যানরা।
ওয়েলিটংটন টেস্টে তৃতীয় দিনে খেলা শুরুর পর চা বিরতির খানিক আগে ২১১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। আরও একবার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শর্ট বলে কাবু করে ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ওয়েগনার, শর্ট বল-ইয়র্কারের মিশেলে ৩৮ রানে ৩ উইকেট তুলেছেন ট্রেন্ট বোল্ট।
দুই ওপেনার ঘাসে ভরা উইকেটেও পাইয়ে দিয়েছিলেন দারুণ শুরু। প্রায় ২১ ওভার আগলে রেখে নতুন বল সামলেছিলেন ঠিকঠাক। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই বেরিয়ে পড়ে কঙ্কাল। ওয়ানডাউনে নামা মুমিনুল হক আর চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন শর্ট বলে নিজেদের দুর্বলতা দেখান দৃষ্টিকটুভাবে। লাঞ্চের আগে দুজনেই শিকার ওয়েগনারের।
৩ উইকেটে ১২৭ রান নিয়ে লাঞ্চ থেকে ফেরার পর ওয়েগনারের আরেকটি শর্ট বলে ইতি টানেন তামিম। ১১৪ বলে ১০ চারে শেষ হয় তার ৭৪ রানের ইনিংস। তার খানিক পরই বিদায় সৌম্য সরকারের। ক্রিজে এসেই চনমনে খেলছিলেন তিনি। শর্ট বলও সামলাচ্ছিলেন ভালো। তবে ওয়ানডে মেজাজ ধরতে গিয়ে সর্বনাশ করেন নিজের ও দলের। ম্যাট হেনরিকে অকারণে পেটাতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ টিকেছেন খুব কম সময়। ওয়েগনারের শর্ট বল মিড উইকেটের দিকে ঠেলে দিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে আক্ষেপ করতে করতে বিদায় নেন। ১৬৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দলকে দুশো পার করান লিটন দাস। চোখ ধাঁধানো দুই কাভার ড্রাইভের পর লিটন ছিলেন সাবলীল। টেল এন্ডারদের বাঁচিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে শেষ হয় তার ইনিংস। তামিমের ৭৪ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চও লিটনের ৩৩। তার খানিকপর শেষ হয় বাংলাদেশের দৌড়ও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৬১ ওভারে ২১১ (তামিম ৭৪, সাদমান ২৭, মুমিনুল ১৫, মিঠুন ৩, সৌম্য ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ৮, মোস্তাফিজ ০ , জায়েদ ৪, ইবাদত ০* ; বোল্ট ৩/৩৮, সাউদি ১/৫২, গ্র্যান্ডহোম ১/১৫, হেনরি ১/৬৭, ওয়েগনার ৪/২৮ )
Comments