সেই হারের পর এখনও ঘুমাতে পারছেন না এমবাপে

ছবি: এএফপি

উৎসব তো প্রায় শুরুই হয়ে গিয়েছিল। কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে রেফারির নেওয়া এক সিদ্ধান্তেই বদলে দিল সবকিছু। বিতর্কিত সে পেনাল্টিতে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নেয় প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ঘরের মাঠে তাদের ৩-১ গোলে হারিয়ে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর এমন হারের পর এখনও ঠিকভাবে ঘুমোতে পারছেন না দলের তরুণ তারকা কিলিয়ান এমবাপে।

শুধু যে ওই এক পেনাল্টিতেই হৃদয় ভেঙেছে তাদের তাও নয়, বাকী দুটি গোলও তারা এক প্রকার উপহার দিয়েছে ইউনাইটেডকে। নাহলে পুরো ম্যাচেই একচেটিয়া খেলে গেছে তারা। ৭২ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে ছিল। লক্ষ্যে শটও ইউনাইটেডের চেয়ে বেশি নিয়েছে প্রায়  আড়াইগুণ। আর প্রতিপক্ষকে ভালো কোনো আক্রমণও করতে দেয়নি। কিন্তু ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায় গোলরক্ষক জুয়ানলুইজি বুফন ও ডিফেন্ডার থিলো কেহরারের দুই দুটি ভুলও।

আর তাই স্বাভাবিকভাবেই হতাশ পিএসজির খেলোয়াড়েরা। আর ২০ বছর তরুণ এমবাপের জন্য তো আরও একটু বেশি। কারণ ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তাই দায়টা নিজেদের কাঁধেই নিচ্ছেন এ তরুণ। ফরাসী সংবাদমাধ্যম টেলিফুটকে বলেন, ‘স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ ছিল। সমর্থকরা তাদের কাজটা করেছে, আমাদের সমর্থন দিয়েছে। এটা দারুণ এক পরিবেশ ছিল কিন্তু আমরা পার্টিটা নষ্ট করে দিয়েছি। আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছি। বলার কিছুই নেই। আমি এখনও ঠিকমতো ঘুমোতে পারিনি। আমার মনে দলের সবারই আমার মতো অবস্থা।’

আর এমন হারে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে পিএসজির সামর্থ্য নিয়ে। গত দুই বছরে কারিকারি টাকা ঢেলেও ইউরোপিয়ান আসরে সাফল্য মিলছে না দলটির। তবে এতো সহজেই হাল ছাড়ার পাত্র নন এমবাপে, ‘আমার মনে অনেক মানুষই আছে যাদের এখন সন্দেহ হচ্ছে। কিন্তু আমি এখনও এই প্রজেক্টে বিশ্বাস রাখি। আমি নিশ্চিত আমরা অবশ্যই স্পেশাল কিছু করার ব্যবস্থা করে ফেলব। কারণ সমর্থকরা আমাদের পেছনে আছেন এবং আমি আশা করবো এটা নিয়মিত থাকবে।’  

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

6h ago