টার্নারের টর্নেডোতে হতবিহবল ভারত
অ্যান্টন টার্নার যখন ব্যাট হাতে নামেন অস্ট্রেলিয়ার জিততে তখনো লাগে ৮৩ বলে ১৩০। স্লগওভারে জাসপ্রিত বোমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমারদের পিটিয়ে ওই রান তুলা চট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু টার্নার এমন টার্নোডো ইনিংস খেললেন যে আরও ১৩ বল বাকি থাকতেই খেল খতম। ভারতের মাঠে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া।
চণ্ডিগড়ে এদিন জিতলেই সিরিজের ফায়সালা করে ফেলত ভারত। আগে ব্যাট করে ৩৫৮ রানের পাহাড় গড়ে সে পথই তৈরি করে ফেলেছিল তারা। কিন্তু সেই পাহাড়ও রোমাঞ্চকর ব্যাটিংয়ে ডিঙালো অসীরা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে আনল ২-২ সমতা। ওয়ানডেতে এর আগে এত রান তাড়া করে জেতার নজির ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের ৩৩৩ তাড়া করে জিতেছিল তারা, এবার ছাড়িয়ে গেল সেটিকে।
৩৫৮ রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয় বাজে। অ্যারন ফিঞ্চ আর শন মার্শ বিদায় নেন শুরুতেই। কিন্তু আরেক ওপেনার উসমান খাওয়াজা ওয়ানডে দলে নিজের জায়গা পাকা করার জোরালো দাবি জানিয়ে ধরলেন হাল। চারে নামা পিটার হ্যান্ডসকম্বকে নিয়ে গড়লেন ১৯২ রানের জুটি। ৯১ করে খাওয়াজা ফিরলেও হ্যান্ডসকম্ব তুলেন সেঞ্চুরি। দলকে রাখেন খেলায়। ১০৫ বলে ১১৭ রান করে যুজবেন্দ্র চেহেল তাকে ছাঁটলে ম্যাচে ফিরে ভারত।
এরপর ম্যাক্সওয়েল ছোট ঝড় তুলেই বিদায় নেন। কিন্তু শেষটা করার দায়িত্ব পড়ে টার্নারের কাঁধে। ৪৩ বলে ৮৪। ৫ চার আর হাফ ডজন ছক্কায় সেই দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেন টার্নার।
এরআগে রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ানের ব্যাটে রানের পাহাড়ে চড়েছিল ভারত। অধিনায়ক কোহলি এই ম্যাচে না পারলেও তাই স্বাগতিকদের সমস্যা হয়নি। ৯২ বলে ৯৫ করেন রোহিত। ধাওয়ান খেলেন ১১৫ বলে ১৪৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। তখন কে ভেবেছিল অমন ইনিংস খেলেও পরাজিত দলে থাকতে হবে তাকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৫৮/৯ (রোহিত ৯৫, ধাওয়ান ১৪৩, রাহুল ২৬, কোহলি ৭, পান্ত ৩৬, কেদার ১০, শঙ্কর ২৬, ভুবনেশ্বর ১, কুলদীপ ১*, চেহেল ০, বুমরাহ ৬*; কামিন্স ৫/৭০, বেহরেনডর্ফ ০/৬১, রিচার্ডসন ৩/৮৫, ম্যাক্সওয়েল ০/৬১, জ্যাম্পা ১/৫৭, ফিঞ্চ ০/২২)
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭.৫ ওভারে ৩৫৯/৬ (ফিঞ্চ ০, খাওয়াজা ৯১, মার্শ ৬, হ্যান্ডসকম ১১৭, ম্যাক্সওয়েল ২৩, টার্নার ৮৪*, কেয়ারি ২১, রিচার্ডসন ০*; ভুবনেশ্বর ১/৬৭, বুমরাহ ৩/৬৩, শঙ্কর ০/২৯, কুলদীপ ১/৬৪, কেদার ০/৪৪, চেহেল ১/৮০)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: অ্যাস্টন টার্নার
Comments