কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ বরখাস্ত

Shabnam Jahan
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সিলযুক্ত ব্যালটের একটি ব্যাগ পাওয়ার ঘটনায় ওই হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শবনম জাহানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলাকালে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সিলযুক্ত ব্যালটের একটি ব্যাগ পাওয়ার ঘটনায় ওই হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শবনম জাহানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শবনম জাহানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

এর আগে, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সিলযুক্ত ব্যালটের একটি ব্যাগ পাওয়ার ঘটনায় ওই হলের ভোটগ্রহণ স্থগিত করার ঘোষণা দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।



ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, হলের পাঠকক্ষ থেকে আগেই সিল মেরে রাখা ব্যালটের একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা আরও জানান, সেসব ব্যালটে ছাত্রলীগ সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা ছিলো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।”

নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা প্রথমেই ওই হলের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছি।”

এদিকে, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল সংসদ নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আরশিয়া তাবাসসুম কাব্য আজ (১১ মার্চ) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন। সেখানে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা একটি ব্যাগ থেকে সিলযুক্ত ব্যালট বের করছেন। ভিডিওতে একটি নারী কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, “রাতের বেলা এই ব্যালট পাওয়া গেছে।”

Comments

The Daily Star  | English

Govt cuts interest rates on savings tools

Finance ministry lowers rates on four key savings instruments

45m ago