দুই নাঈমের সেঞ্চুরিতে জিতল রূপগঞ্জ

১৪ বল বাকী তখনও। প্রয়োজন ৩২ রান। হাতে আছে ৩টি উইকেট। রান তাড়ার অনন্য কীর্তির অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেটভক্তরা। কিন্তু এরপরের গল্পটা শুধুই লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। দারুণ বোলিং করে মাত্র ৮ রান খরচ করেই শেষ ৩ উইকেট তুলে নেয় দলটি। ফলে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে নাঈম ইসলামের দল।
ছবি: সংগ্রহীত

১৪ বল বাকী তখনও। প্রয়োজন ৩২ রান। হাতে আছে ৩টি উইকেট। রান তাড়ার অনন্য কীর্তির অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেটভক্তরা। কিন্তু এরপরের গল্পটা শুধুই লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। দারুণ বোলিং করে মাত্র ৮ রান খরচ করেই শেষ ৩ উইকেট তুলে নেয় দলটি। ফলে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে নাঈম ইসলামের দল।

ম্যাচ জয়ের ভিত অবশ্য এদিন গড়ে দিয়েছেন রূপগঞ্জের দুই নাঈম। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও অধিনায়ক নাঈম ইসলাম দুই জনই করেছেন সেঞ্চুরি। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫৭ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় রূপগঞ্জ। জবাবে সাব্বির হোসেনের সেঞ্চুরিতে দারুণ লড়াই করে ৬ বল বাকী থাকতে শাইনপুকুর অলআউট হয় ৩৩৪ রান করে।

তবে ম্যাচের পর্যায়ে দারুণভাবেই ম্যাচে ছিল শাইনপুকুর। দুই ওপেনার সাব্বির ও ভারতীয় রিক্রুট উদয় কাউলের দারুণ জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় দলটি। ওপেনিং জুটিতে ১০৪ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এ জুটি ভাঙার পর অবশ্য স্কোরবোর্ডে আর ১০১ রান যোগ করতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ কঠিন করে ফেলে দলটি।

ষষ্ঠ উইকেটে সোহরাওয়ার্দী শুভকে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়ে দলকে আবারো আশার আলো দেখান তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই আর পেরে ওঠেনি তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। এরপর আর ৪৯ রান যোগ করতেই শেষ ৫টি উইকেট হারালে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় গত আসরের চমক দেখানো দলটিকে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রানের ইনিংস খেলেছেন সাব্বির। ৮৭ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ ইনিংস গড়েন তিনি। তৌহিদের ব্যাট থেকে আসে ৮৩ রান। ৮১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী করেন ৩৪ রান। রূপগঞ্জের পক্ষে ৫১ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন নাবিল সামাদ। আসিফ হাসান পান ২টি উইকেট।

এর আগে সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল রূপগঞ্জও। ১৩২ রানের ওপেনিং জুটি এনে দেন দুই ওপেনার আজমির আহমেদ ও মোহাম্মদ নাঈম। আজমিরের বিদায়ে ভাঙে ওপেনিং জুটি। এরপর দলীয় ২২৫ রানে আউট হওয়ার আগে অধিনায়ক নাঈম ইসলামের সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নাঈম। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় রূপগঞ্জ।

তৃতীয় উইকেটে রিশি ধাওয়ানের সঙ্গে ৭৩ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। ৯৮ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেই আউট হন তিনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২২ রানের ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ নাঈম। ১০৮ বলে ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। আজমিরের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। শাইনপুকুরের পক্ষে ২টি করে উইকেট পান সুজন হাওলাদার, দেলোয়ার হোসেন ও হামিদুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ৩৫৭/৭ (আজমির ৪৮, মোহাম্মদ নাঈম ১২২, নাঈম ইসলাম ১০৮, ধাওয়ান ৩২, আসিফ ১১, জাকের ৯, মুক্তার ১৩, নাফীস ২*, শহীদ ২*; সুজন ২/৭৫, দেলোয়ার ২/৬৭, শুভাগত ০/৩০, হামিদুল ২/৪৫, আফিফ ০/৩৩, সোহরাওয়ার্দী ০/৪৪, সাব্বির ১/৩৭, টিপু ০/২৬)।

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৪৯ ওভারে ৩৩৪ (কাউল ২৯, সাব্বির ১০০, আফিফ ১৫, তৌহিদ ৮৩, শুভাগত ৫, ধীমান ১৩, সোহরাওয়ার্দী ৩৪, দেলোয়ার ১৮, সুজন ২২, হামিদুল ৩, টিপু ০*; শহীদ ১/৮৬, নাবিল ৩/৫১, ধাওয়ান ১/৬৬, আসিফ ২/৬৬, মুক্তার ১/৫৯)।

ফলাফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ নাঈম (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ)।

Comments

The Daily Star  | English

Mia, wife concealed assets in tax returns

When Asaduzzaman Mia retired as the longest-serving Dhaka Metropolitan Police commissioner in 2019, by his own admission, he went home with about Tk 1.75 crore in service benefits. But that does not give a true picture of his wealth accumulation. Fact is, the career cop and his family became muc

2h ago