দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন: নুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) প্রহসনের নির্বাচনের প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, “ভিপি এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদ ছাড়া অন্য সকল পদে পুনর্নির্বাচন দাবি করছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগের কেউ নির্বাচিত হবেন না।”
ডাকসু ভোট বর্জনকারী বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ মিছিল। ছবি: পলাশ খান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) প্রহসনের নির্বাচনের প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, “ভিপি এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদ ছাড়া অন্য সকল পদে পুনর্নির্বাচন দাবি করছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগের কেউ নির্বাচিত হবেন না।”

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন চলবে বলে ঘোষণা করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই ছাত্রনেতা।

গতকাল ভোটের অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে রোকেয়া হলে গিয়ে ‘ছাত্রলীগের হামলা’য় আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল নুরকে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আজ তিনি টিএসসিতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফের তার ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে টিএসসির ভেতরে গিয়ে আশ্রয় নেন তারা। এর পরই সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নুর সাংবাদিকদের বলেন, “ভোট কারচুপির পরও তারা আমাদের পরাজিত করতে পারেনি।”

প্রশাসনের উদ্দেশে নুরুল হক বলেন, ছাত্রদের নিয়ে খেলবেন না। কারচুপি নির্বাচনের পরও আমি ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। বাকি পদগুলোতে ছাত্রলীগ জেতেনি, তাদের জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই পুনর্নির্বাচন দাবি করছি।

ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদ ছাড়া আর সব পদে পুনর্নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের কোনো দাবি মানা হয়নি। অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন চলবে। পরের কর্মসূচি পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নুরুলের সঙ্গে বামপন্থী, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন বর্জন করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

Comments