চবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ওপর হামলায় ১১ শিক্ষকের নিন্দা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষক।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ের এই হামলাগুলোর চরিত্র বিশ্লেষণ করলে এটা সহজে বোঝা যায় যে, জাতি-রাষ্ট্রের অসুখগুলো ক্রমেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে, যা আমাদের সমাজ এবং গণমানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো দলীয় কোনো সংগঠনকে ইজারা দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় জনগণের টাকায়, তাই রাষ্ট্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ করার অধিকার রাখে এবং এটি সবার সাংবিধানিক অধিকার। এতে বাঁধা দেওয়ার অর্থ গণতন্ত্র এবং আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো, আর সেটাই ছাত্রলীগ নামধারীরা করে চলেছে। তাদের এই সন্ত্রাসী ও অগণতান্ত্রিক আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা তাদের এসব বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিদানকারী শিক্ষকেরা হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মাদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খাদিজা মিতু, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পারভীন জলী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আর রাজী, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী শিক্ষক মাইদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পুনর্নির্বাচনের দাবিতে গতকাল (১২ মার্চ) দুপুরে চবি ক্যাম্পাসের চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এলে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।
Comments