ডাকসু পুনর্নির্বাচন: ৩ দিনের আল্টিমেটাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদের নির্বাচন আবারো অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জনকারী ৫টি প্যানেলের প্রার্থীরা। সেসময় তারা তিনদিনের মধ্যে পুনঃতফসিলের দাবি জানান।
আজ (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার প্রাক্কালে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই আল্টিমেটাম দেন।
তিনি জানান, “তিনদিনের মধ্যে পুনঃতফসিল ঘোষণা দিতে হবে। এই প্রহসনের নির্বাচনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে তিনদিনের মধ্যে পুনঃতফসিল ঘোষণা দিতে হবে।”
এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে যান।
উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের লিটন নন্দী বলেন, “হামলা-মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমানো যাবে না। মামলা দিলে আন্দোলন দ্বিগুণ হবে।”
লিটন আরও বলেন, “ডাকসু আমাদের অধিকার। আমরা পাঁচটি প্যানেল পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই নির্বাচন মানি না, ফলাফল মানি না। অবিলম্বে পুনঃতফসিল দিতে হবে। আমাদের কেউ শপথ নেবে না।”
স্বতন্ত্র জোটের অরণি সেমন্তি খান বলেন, “তিনদিনের মধ্যে নতুন তফসিল দিতে হবে, না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাশেদ খাঁন বলেন, “রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষকে বহিষ্কারের আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর আন্দোলন। আজকের মধ্যে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদাকে পদত্যাগ করতে হবে।”
একই সংগঠনের ফারুক হোসেন বলেন, “তিনদিনের মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আগামী শনিবারের মধ্যে তফসিল দিতে হবে।”
Comments