কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ‘সময় পায়নি’ বাংলাদেশ

আরও একটি নিউজিল্যান্ড সফর এবং আরও একবার ক্রমাগত হার। ওয়ানডের পর কাহিল দশা টেস্টেও। শর্ট বল খেলতে না পেরে নাজেহাল হচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দুই টেস্টেই ইনিংস হারে বিপর্যস্ত এখন বাংলাদেশ দল। ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন বলছেন, এই পরিস্থিতি হয়েছে কন্ডিশনের সঙ্গে মানানোর সময় না পাওয়ায়।
ফাইল ছবি

আরও একটি নিউজিল্যান্ড সফর এবং আরও একবার ক্রমাগত হার। ওয়ানডের পর কাহিল দশা টেস্টেও। শর্ট বল খেলতে না পেরে নাজেহাল হচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দুই টেস্টেই ইনিংস হারে বিপর্যস্ত এখন বাংলাদেশ দল। ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন বলছেন, এই পরিস্থিতি হয়েছে কন্ডিশনের সঙ্গে মানানোর সময় না পাওয়ায়। 

এবার বিপিএলের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হওয়ায় নিউজিল্যান্ড সফরের জন্যে আলাদা কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে পারেনি বাংলাদেশ। বিপিএলে শেষ করে তড়িঘড়ি করে গিয়েই নামতে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজে।

ওয়ানডে সিরিজে দুই ফিফটি করা মিঠুন টেস্টে রাখতে পারছিলেন না অবদান। হ্যামিল্টনে দুই ইনিংসেই হন বাজে আউট। ওয়েলিংটনে প্রথম ইনিংসেও রান পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে থিতু হয়ে ৪৭ রান করে আউট হন। যদিও মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যানের কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। তবে কেবল তিনিই নন। রান পাননি আরও অনেকেই। কিউই পেসারদের গোলা সামলানোর জন্য সময় নিয়ে প্রস্তুত হতে না পারাকেই কারণ মনে হচ্ছে মিঠুনের,  ‘আমাদের এই কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়ার মতন যথেষ্ট সময় ছিল না। তারপর ওরা আমাদের যেভাবে আক্রমণ করেছে, ওরা যে ধরনের বল করেছে (শর্ট বল), সব মিলিয়ে...(এমন হয়েছে)। না হলে তো ফলটা এমন হত না।’

তবে লাল বলের বাস্তবতার জমিনটাই কঠিন মনে হচ্ছে মিঠুনের। এখানে স্কিলের সঙ্গে মানসিক জোরটাও যে জরুরী সেটাও স্বীকার করেন তিনি, ‘টেস্ট ক্রিকেটটাই এমন। টেস্ট ক্রিকেটের সাথে সব ফরম্যাটের পার্থক্যটাই এখানে। আপনি কতোটা মানসিক শক্তি নিয়ে খেলতে পারেন, কতোটা একাগ্র হয়ে খেলতে পারেন।

তবে দলের কারোরই নিবেদনে কোন ঘাটতি দেখছেন না তিনি,  ‘আমি নিশ্চিত সবাই তার শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করে। আমরা কোন ক্লাবের হয়ে বা পাড়ার ক্রিকেট খেলছি না, আমরা দেশের হয়ে খেলছি। চেষ্টাটা থাকে সবসময়। প্রতিদিন তো সবাই পারে না। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি।’

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago