‘পলাশের হাতে প্লাস্টিকের খেলনা বন্দুক ছিল’
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/biman-3_0_0.jpg?itok=IjIJHck9×tamp=1552490563)
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কথিত উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদের কাছে যে অস্ত্র সদৃশ বস্তুটি ছিল সেটি ‘প্লাস্টিকের খেলনা বন্দুক’ বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারির এই ছিনতাই চেষ্টার ঘটনার পরই তদন্তে নামে সিআইডি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তারা। সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়াকে উদ্ধৃত করে দ্য ডেইলি স্টারের রিপোর্টার জানান, ব্যালিস্টিক রিপোর্টে সিআইডি বলেছে, পলাশের হাতে প্লাস্টিকের খেলনা বন্দুক ছিল।
উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় যে মামলা হয় তার তদন্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “সিআইডির ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞরা মঙ্গলবার প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রতিবেদনে একে খেলনা পিস্তল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।”
চট্টগ্রামের আদালতের আদেশে খেলনা পিস্তলটিসহ এই ঘটনার অন্যান্য আলামত ব্যালিস্টিক ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সিআইডির কাছে পাঠিয়েছিলেন রাজেশ।
কমান্ডো অভিযানে পলাশ আহমেদ নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হওয়া ছিনতাই চেষ্টার ওই ঘটনার পর সিএমপি’র কমিশনার মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ছিনতাইকারীর কাছে পাওয়া বন্দুকটি ছিল ‘খেলনা’। তবে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সব আলামত পরীক্ষা করার কথা তিনি জানিয়েছিলেন।
খেলানা পিস্তলটি বাংলাদেশেই তৈরি উল্লেখ করে সিআইডি সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই ধরনের খেলনা থেকে রাবারের তৈরি ছোট বল নিক্ষেপ করা যায়। বল বের হওয়ার সময় অল্প একটু শব্দও হয়। এই খেলনায় কোনো কার্ট্রিজ বা গুলি ছোড়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী উড়োজাহাজটিকে যাত্রী বেশে ওঠা পলাশ আহমেদ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়। চট্টগ্রামে অবতরণের পর সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিটের আট মিনিটের অভিযানে তিনি নিহত হন।
Comments