আমরা এখনও এ দেশকে ভালোবাসি: নিউজিল্যান্ডের মসজিদের ইমাম

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের এক মসজিদে আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দ্বারা ভয়াবহ হামলা চালানোর সময় যে ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন, তিনি এবার বলেছেন যে, এই গণহত্যার জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রতি মুসলিম সম্প্রদায়ের ভালোবাসা কমে যাবে না।
Capture
১৬ মার্চ ২০১৯, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের পাশে ফুল ও সমবেদনামূলক চিরকুট রেখে হতাহতদের স্মরণ করছেন স্থানীয়রা। ছবি: এপি/মার্ক বেকার

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের এক মসজিদে আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দ্বারা ভয়াবহ হামলা চালানোর সময় যে ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন, তিনি এবার বলেছেন যে, এই গণহত্যার জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রতি মুসলিম সম্প্রদায়ের ভালোবাসা কমে যাবে না।

“চরমপন্থিরা কখনও আমাদের বিশ্বাসে আঘাত হানতে পারবে না” মন্তব্য করে লিনউড মসজিদের ইমাম ইব্রাহিম আব্দুল হালিম বলেন, “আমরা এখনও এ দেশকে ভালোবাসি।”

গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) নামাজ পড়ানোর সময় মসজিদের ভেতরে বিভীষিকাময় হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন হালিম। তিনি জানিয়েছেন, কী করে শান্তিময় প্রার্থনার স্থানটি মুহূর্তেই আর্তনাদ, রক্তস্রোত ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়ে যায়।

তিনি বলেন, “প্রত্যেকেই মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন এবং নারীদের কেউ কেউ কান্না করছিলেন। কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবেই মারা যান।”

“তারপরেও, নিউজিল্যান্ডের মুসলমানেরা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এ দেশটিকে নিজেদের আবাসস্থল হিসেবেই গণ্য করে”, বলেন তিনি।

ওই ইমাম আরও বলেন, “আমার সন্তানেরা এখানে থাকে এবং আমরা বেশ সুখী।”

অপরিচিতরা আজ কীভাবে তাকে আলিঙ্গন করে সহমর্মিতা জানিয়েছে সে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব মানুষ আমাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, সংহতি প্রকাশ করেছেন।”

“তারা শুরু করেছেন...আমাকে আলিঙ্গনে বেঁধেছেন এবং সমবেদনা জানিয়েছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়”, যোগ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা চালান ব্রেনটন। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। কাছাকাছি লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। দুই মসজিদে হামলায় নিহত ৪৯ জন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০ জন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago