খাদ্যমন্ত্রীর জামাতার রহস্যজনক মৃত্যু
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের জামাতা ডা. রাজন কর্মকারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ডা. রাজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
রবিবার (১৭ মার্চ) ভোর পৌনে ৪টার দিকে মন্ত্রীর বড় মেয়ে কৃষ্ণা রানী মজুমদার অজ্ঞান অবস্থায় রাজনকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ডা. রাজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মৃত্যুকে রহস্যজনক আখ্যায়িত করে রাজনের মামা সুজন কর্মকার এ ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন এবং মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কৃষ্ণা কয়েক ঘণ্টা আগে তার শাশুড়িকে (রাজনের মা) ফোন দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, তার ছেলে মারা গেছে।
বোনের থেকে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ভোর ৪টা ২০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে যান বলে দাবি করেন সুজন।
এর আগেও, রাজনের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে বিএসএমএমইউ-এর নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাহনেওয়াজ বারী বলেন, “তারাও মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চান।”
“আমরা শুনেছি যে, দেড় বছর আগেও নির্যাতনের শিকার হয়ে রাজন একটি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন,” বলেন তিনি।
রাজনের বিভাগের প্রধান ডা. কাজী বিল্লুর রহমান বলেন, “রাজনের পরিবার মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করার কথা বলেছেন, এ ব্যাপারে কারও কোনো আপত্তি নেই। আমি নিজেও মন্ত্রীর (সাধন চন্দ্র মজুমদার) সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, তারও আপত্তি নেই।”
এ ব্যাপারে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার দল নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
ময়নাতদন্তের জন্য রাজনের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ভিক্টিমের পরিবার থেকে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।”
Comments