সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের অনলাইন নিবন্ধনের কথা ভাবছে সরকার

সাগরকন্যা সেন্ট মার্টিনে ঘুরতে যেতে আগ্রহীদের অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থার মধ্যে আনার কথা ভাবছে সরকার। প্রবালদ্বীপটির জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এমনটি ভাবা হচ্ছে।
St Martin's
প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

সাগরকন্যা সেন্ট মার্টিনে ঘুরতে যেতে আগ্রহীদের অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থার মধ্যে আনার কথা ভাবছে সরকার। প্রবালদ্বীপটির জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এমনটি ভাবা হচ্ছে।

এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে চলতি বছরের মধ্যেই তা বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শীঘ্রই একটি সফটওয়ার তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রকল্পটির কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

শুধুমাত্র নিবন্ধিত পর্যটকরাই যাতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সফটওয়ারটি তৈরি করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ড. সুলতান বলেন, “আমরা কর্মপরিকল্পনাটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সেগুলোর অনুমোদন নেওয়া হবে।”

নিবন্ধনের জন্যে পর্যটকদের কাছ থেকে নামমাত্র টাকা নেওয়ার কথাও ভাবছে অধিদপ্তর। এছাড়াও, দ্বীপটিতে প্রতিদিন ১ হাজার ২৫০ জন পর্যটককে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে। বর্তমানে প্রতিদিন অন্তত ৪ হাজার পর্যটক সেখানে ভ্রমণে আসেন।

অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, দেশ-বিদেশের যারাই দ্বীপটিতে ভ্রমণ করতে চান তাদেরকেই অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। প্রতিদিন নির্ধারিত সংখ্যায় নিবন্ধন হয়ে গেলে সেদিনের নিবন্ধন সক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

ড. সুলতান বলেন, অনেক পর্যটকের সচেতনতার অভাবে সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছিলো।

“সে কারণেই আমরা দ্বীপটিতে একটি তথ্যকেন্দ্র খোলার পরিকল্পনাও নিয়েছি। যাতে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করার বিষয়ে পর্যটকদের সচেতন করা যায়,” যোগ করেন মহাপরিচালক।

দ্বীপটিতে যাওয়ার পর পর্যটকদের একটি তালিকা দেওয়া হবে। তাতে থাকবে তাদের কী করা উচিত বা উচিত নয়। দ্বীপের পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য কীভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়েও একটি দিক নির্দেশনা থাকবে বলেও জানান তিনি।

Comments