মেয়র, পুলিশ কমিশনারের আশ্বাস শিক্ষার্থীদের প্রত্যাখ্যান

Safe road movement
২০ মার্চ ২০১৯, রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবি জানান। ছবি: পলাশ খান

সবার জন্যে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যে আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ (২০ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যে আশ্বাস দেন তা তারা মেনে নেয়নি।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কাছে প্রগতি সরণীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুবীর নামে একটি পদচারী সেতু উদ্বোধনের সময় মেয়র এবং পুলিশ কমিশনার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করেন। সড়ককে নিরাপদ করার জন্যে তারা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করারও চেষ্টা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কর্তাব্যক্তিদের আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে সেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “অতীতেও তারা অনেকবার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেগুলোর কোনো কিছুই মানা হয়নি।”

গতকাল (১৯ মার্চ) সকালে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় প্রগতি সরণীতে যাত্রীবাহী বাস সুপ্রভাত এর রেষারেষির কারণে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। এর প্রতিবাদে এবং সবার জন্যে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবরারের সহপাঠীরা রাস্তায় নেমে আসেন।

সেসময় তারা দুর্ঘটনায় জড়িত বাসের চালক সর্বোচ্চ শাস্তি, সুপ্রভাত ও জাবালে নূর পরিবহনের চলাচল বন্ধ এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে পদচারী সেতু স্থাপনের দাবি জানান।

তাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে আজ (২০ মার্চ) শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী ক্লাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।

আর পড়ুন:

আবরারের নামে পদচারী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর

নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

11h ago