লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দোল উৎসবে কৌশলী প্রচার সেরে নিলো তৃণমূল-বিজেপি

Dol
২১ মার্চ ২০১৯, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একজন তৃণমূল নেতাকে দেখা যায় দোল উৎসবে রঙিন হয়ে জনসংযোগ করতে। ছবি: স্টার

হোলি বা দোল উৎসবের আয়োজনকে পুরোপুরি লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে কাজে লাগলো ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা বিরোধী বিজেপি শিবির প্রত্যেক দলের নেতা-কর্মীরা এদিন হোলি উৎসবের মোড়কে নিজ নিজ দল, প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচার করেছেন। যদিও প্রার্থীরা কেউ এই কথা স্বীকার করেননি।

তারা বলেছেন, হোলি কিংবা দল এসব এখন সামাজিক উৎসব। এখানে সবাই অংশ নিচ্ছেন। এই উৎসবগুলোতে মানুষের সঙ্গে তারাও সামিল হচ্ছেন। কেউ রঙ দিয়ে, কেউ রঙ মেখে কেউবা নেচে-গেয়ে।

বীরভূমের সিউরিতে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায় আবির খেলেছেন। তিনি শোভাযাত্রায় যোগও দিয়েছেন এদিন। তার সঙ্গে ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সকালে দোল উৎসবের শোভাযাত্রায় যেমন ছিলেন সন্ধ্যার আগে তিনি আবার রোড-শোও করেন।

হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী ও প্রাক্তন খেলোয়াড় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় একইভাবে রঙ মেখে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রী এমন কী রাজ্য সরকারের একজন মন্ত্রীও। বিকালেও তাকে দেখা গিয়েছে হাওড়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে।

হুগলির তৃণমূল প্রার্থী আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমত নেচে-গেয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টাজুড়ে তিনি হুগলির বিভিন্ন এলাকায় ওই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এই সময় অনেকেই তার মুখে আবীর দিয়েছেন আবার তিনিও অনেকের শরীরের ছিটিয়েছেন বিভিন্ন রঙের আবীর।

পিছিয়ে নেই বিজেপিও। আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের সেন্ট্রালক্লাবে আয়োজিত সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হোলি উৎসবে সামিল ছিলেন প্রখ্যাত এই ভারতীয় সংগীতশিল্পী তথা বিজেপি নেতা।

এদিকে প্রার্থী না হলেও দলের জনসংযোগের রাস্তায় নেমেছিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরাও। যেমন- রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। এদিন দক্ষিণ কলকাতায় তাকে নেচে-গেয়ে ঢোল বাজিয়ে উৎসবে সামিল হতে দেখা গিয়েছে। এই উৎসবের দিনটিতে এর আগেও তিনি একইভাবে তাকে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে।

এদিকে যারা এদিন দোল উৎসবে জনসংযোগ করেছেন, তাদের প্রত্যেকেই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয় এড়িয়ে গিয়েছেন। যেমন- শতাব্দী রায় বলেছেন, সারাবছরেই তারা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। তাদের সরকারটাই মা-মাটি মানুষের সরকার। তাই বিশেষ কোনও উৎসবকে তারা জনসংযোগে ব্যবহার করেন না।

তৃণমূল নেতা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও মনে করেন তাদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক দিন-রাত। যেকোনো উৎসবের মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়াই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নীতি। তাই তিনি রাস্তায় নেচে-গেয়ে দোল উৎসবে সামিল হয়েছিলেন।

আসানসোলে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আজ এমন একটি উৎসব সেখানে সব রঙ এক হয়ে গিয়েছে। এখানে কোনো রাজনীতি নেই। মানুষের উৎসবে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্যেই এই ধরণের আয়োজনে এসেছেন বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

137 journalists sued so far

They have been charged with murder, attempted murder, unlawful assembly, rioting, abduction, vandalism, extortion, assault, and in certain cases, genocide, and crimes against humanity.

8h ago