শেষ বলের ছক্কায় হারল মোহামেডান

ফাইল ছবি

শেষ ওভারে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। উইকেট হাতে ছিল তিনটি। প্রথম পাঁচ বল থেকে তাইজুল ইসলামের উইকেট হারিয়ে আসে ৭ রান। দলের আশা জিইয়ে টিকে ছিলেন অফস্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ এনামুল হক। জিততে হলে শেষ বলে ছক্কার বিকল্প ছিল না। আর দলের প্রত্যাশাটাও মেটান ষোলোআনা। আলাউদ্দিন বাবুকে ছক্কা মেরেই দলকে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন তিনি। ফলে টানা দ্বিতীয় হার দেখে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

মোহামেডানের দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৯ রানে ওপেনার হাসানুজ্জামানকে হারিয়ে চাপে পড়ে শেখ জামাল। তবে দ্বিতীয় উইকেটে তানবির হায়দারকে ৭৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেন ইমতিয়াজ হোসেন। এরপর নাসির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের আরও একটি জুটি গড়েন ইমতিয়াজ। কিন্তু আট রানের ব্যবধানে সেট দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে আবার চাপে পড়ে দলটি।

চতুর্থ উইকেটে আসেলা গুনারাত্নেকে নিয়ে অবশ্য দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দলের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ২০৪ রান। কিন্তু এরপর হঠাৎই ম্যাচটি কঠিন করে ফেলে তারা। এ জুটি ভাঙতেই দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে এক প্রান্তে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন মোহাম্মদ এনামুল হক। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ১৭ বলে অপরাজিত ২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

তবে দলের পক্ষে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন ইমতিয়াজ। এছাড়া তানবির ৩৯ ও সোহান ৩২ রান করেন। মোহামেডানের পক্ষে ৪৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন সোহাগ গাজী। এছাড়া ২টি উইকেট পান ডি সিলভা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি মোহামেডান। দলীয় ৫৪ রানেই প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় দলটি। এরপর চতুর্থ উইকেটে আব্দুল মজিদের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৬২ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। এ জুটি ভাঙলে আবার দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে তারা। ২১ রানের ব্যবধানে ৩টি উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে দলটি।

সপ্তম উইকেটে সোহাগ গাজীকে নিয়ে দলের হাল ধরেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। স্কোরবোর্ডে ৬৪ রান যোগ করে এ জুটি।তবে এ জুটি ভাঙলে আর কোন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে না পারলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন মজিদ। এছাড়া ডি সিলভা ৪৯, আশরাফুল ৪৪ ও গাজী ৩২ রান করেন। শেখ জামালের পক্ষে ৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান সালাউদ্দিন শাকিল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৯.১ ওভারে ২৪০ (ইরফান ১৭, মজিদ ৫২, তুষার ০, রকিবুল ১৪, আশরাফুল ৪৪, ডি সিলভা ৪৯, নাদিফ ৫, গাজী ৩২, আলাউদ্দিন ৩, শফিউল ১০, নিহাদুজ্জামান ১১*; নাসির ১/৩২, তাইজুল ১/৫২, শাহবাজ ১/২৬, গুনারাত্নে ২/৫২, তানবির ১/২১, শাকিল ৩/৪১, এনামুল ১/১৪)।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৪২/৮ (ইমতিয়াজ ৭৪, হাসানুজ্জামান ৫, তানবির ৩৯, নাসির ২৫, গুনারাত্নে ২০, সোহান ৩২, জিয়াউর ৬, এনামুল ২৮*, তাইজুল ৩, শাকিল ১*; শফিউল ০/৫৪, ডি সিলভা ২/৩৬, গাজী ৩/৪৩, নিহাদুজ্জামান ১/৪৯, আশরাফুল ১/৩২, আলাউদ্দিন ০/২১, তুষার ০/৭)।

ফলাফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইমতিয়াজ হোসেন (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব)।

Comments

The Daily Star  | English
trade via Akhaura land port to remain suspended

Strained ties: non-tariff barriers and the future of Bangladesh-India trade relations

The non-tariff barriers hurt Bangladesh-India trade, increasing costs and damaging bilateral trust

10m ago