প্রথম হারের স্বাদ পেল আবাহনী

জাতীয় দলের এক ঝাঁক তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে বেশ শক্তিশালী দল গড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। মাঠে খেলছিলও দারুণ। প্রথম চার ম্যাচেই জয় তুলে নেয় দলটি। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে তাদের হারের স্বাদ দিয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরি, আরিফুল হকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এদিন ১৬ রানের হেরেছে চ্যাম্পিয়নরা।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জাতীয় দলের এক ঝাঁক তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে বেশ শক্তিশালী দল গড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। মাঠে খেলছিলও দারুণ। প্রথম চার ম্যাচেই জয় তুলে নেয় দলটি। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে তাদের হারের স্বাদ দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরি, আরিফুল হকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এদিন ১৬ রানে হেরেছে চ্যাম্পিয়নরা।

প্রাইম ব্যাংকের দেওয়া ৩০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আবাহনী। খালি হাতেই বিদায় নেন জহুরুল ইসলাম অমি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরেছিলেন ভারতীয় রিক্রুট ওয়াসিম জাফর। এরপর সৌম্য আউট হয়ে গেলে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে স্কোরবোর্ডে ১৩২ রান যোগ করেন তিনি।

২ উইকেটে ১৯৫ রান তুলে নেওয়া দলটি তখন জয়ই দেখছিল। কিন্তু এরপর দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে আসে প্রাইম ব্যাংক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয় তারা। এরপর এক অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে পারেননি। ফলে ৭ বল বাকী থাকতেই ১৬ রান দূরে থামে দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৪ রান করেন জাফর। ৯১ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান। ৮২ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪৭ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫২ রান করে দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মোসাদ্দেক। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক ও আল-আমিন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করে প্রাইম ব্যাংক। ৫০ রানের ওপেনিং জুটি পায় দলটি। এরপর জাকির হাসান আউট হলে অভিমান্যু ইয়াসবারানকে নিয়ে ১৫৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন বিজয়। এরপর শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আরিফুল হক। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০২ রান করে দলটি।

১২৮ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। চলতি আসরে এটা তার টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৯৬ বলে ৮৫ রান করেন ইয়াসবারান। তবে দলের রানের গতিটা বাড়ান আরিফুল। শেষ দিকে ঝড় তুলে ২৭ বলে হার না মানা ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩০২/৫ (বিজয় ১০২, জাকির ১৮, ইয়াসবারান ৮৫, আল-আমিন ১৯, আরিফুল ৫১*, মিলন ২, কাপালী ১৫*; মাশরাফি ০/৫৬, রুবেল ১/৫৬, মোসাদ্দেক ১/৯, অপু ১/৫০, সৌম্য ১/৪১, সানজামুল ১/৫৮, সাব্বির ০/২৭)।

আবাহনী লিমিটেড: ৪৮.৫ ওভারে ২৮৬ (জহুরুল ০, সৌম্য ৩৬, জাফর ৯৪, শান্ত ৭৩, মিঠুন ২, মোসাদ্দেক ৫২, সাব্বির ১০, মাশরাফি ০, সানজামুল ৭, অপু ২, রুবেল ০*; মনির ০/৪১, মোহর ১/২৩, নাহিদুল ৩/৫৬, আরিফুল ০/৫০, রাজ্জাক ৩/৫৭, কাপালী ০/৩২, আল-আমিন ৩/৪৫)।

ফলাফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৬ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এনামুল হক বিজয় (প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব)।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

13h ago