বিকেএসপির তরুণদের রোমাঞ্চকর জয়
দলে কোন বড় নাম নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করেন এমন কেউও নেই। যুব দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে দল করা বিকেএসপি এবার চমকে দিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। শেষ তিন ওভারের উত্তেজনায় পেয়েছে রোমাঞ্চকর জয়।
আগে ব্যাট করে ২৬৭ রানের পূঁজি গড়েছিল বিকেএসপি। তবে ওই রান তাড়ায় টপ অর্ডারের নৈপুণ্যে অনায়াসে জেতার পথেই ছিল ব্রাদার্স। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হুট করে রঙ বদলানো ওই ম্যাচ ২ রানে জিতে নিয়েছে বিকেএসপি। পঞ্চম ম্যাচে বিকেএসপির এটি দ্বিতীয় জয়। ব্যাটে বলে অবদান রেখে দলকে জিতিয়ে নায়ক বনেছেন শামিম হোসেন।
হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ তিন ওভারে জেতার জন্য ২২ রান দরকার ছিল ব্রাদার্সের। আধুনিক ক্রিকেটে যা বেশ সহজই। শামীম হোসেনের করা ৪৮তম ওভারেই ঘুরতে থাকে ম্যাচের ছবি। শামিম ওই ওভারে ৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৯৬ রান করা চিরাগ জানিকে।
মুকিদুল ইসলাম পরের ওভারে এসে চমকে দেন আরও। মাত্র ৪ রান দিয়ে তিনি ফেরান জাহিদুজ্জামান আর মোহাম্মদ শরিফকে। দুই ওভারে হুটহাট তিন উইকেট খুইয়ে হতভম্ব হয়ে পড়ে ব্রাদার্স।
শেষ ওভারে ছিল আরও উত্তেজনাময়। ব্রাদার্সের দরকার ছিল ১২ রান। প্রথম তিন বল থেকে আসে তিন রান, রান আউটে উইকেট পড়ে একটি। চতুর্থ আর পঞ্চম বলে শরিফুল্লাহ নিয়ে নেন ৬ রান। শেষ বলে দরকার ছিল বাউন্ডারি। কিন্তু ওই বলেও রান আউটে পড়েছে উইকেট।
এর আগে শামিম , আকবর আলি আর পারভেজ হোসেনের তিন ফিফটিতে চড়ে ২৬৭ রানের শক্ত পূঁজি পেয়েছিল বিকেএসপি। জবাবে জুনায়েদ সিদ্দিকী আর চিরাগের ব্যাটে জয়ের দিকে যাচ্ছিল ব্রাদার্স। কিন্তু নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ডুবতে হয় তাদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বিকেএসপি: ৫০ ওভারে ২৬৭/৯ (শামিম ৭১, ইমন ৬৯, আকবর ৫৬; শরিফ ৩/৬৫, ইবাদত ২/৫৭)
ব্রাদার্স: ৫০ ওভারে ২৬৫/৯ ( চিরাগ ৯৬, জুনায়েদ ৫২ ; মুকিদুল ৪/৬২, শামিম ২/৪৩)
ফল: বিকেএসপি ২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শামিম হোসেন।
Comments