নারায়ণগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা, আত্মরক্ষার্থে গুলি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সড়কের মাঝখান থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় এক কর্মকর্তাসহ পুলিশের চার সদস্যের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
আহতরা হলেন, ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম এবং কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর হোসেন।
পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের মধ্যে সোহেল নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।
গতরাতে (২৭ মার্চ) ফতুল্লার চর কাশিপুর তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক সোহেল ওই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম জানান, “সিএনজিতে চড়ে তিন কনস্টেবল নিয়ে চর কাশিপুর এলাকায় ডিউটি করছিলাম। তখন চর কাশিপুর তিন রাস্তার মোড় দিয়ে অতিক্রম করার সময় জুয়েল নামে এক যুবক রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকায় আমরা পারছিলাম না। এতে ওই যুবককে সরে দাঁড়াতে বললে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।”
“এতে আমি তাকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করলে ওই যুবক ফোন করে লোকজন এনে আমাদের উপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন সড়কের এক পাশে কনস্টেবলদের নিয়ে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা আমাদের ঘিরে ফেলে এবং মারধর শুরু করে।”
“এসময় আত্মরক্ষার্থে হামলাকারীদের ধাক্কা দিয়ে দূরে গিয়ে আমার পিস্তল থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ি। তখন সন্ত্রাসীরা কিছুটা দূরে সরলে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমের শটগান থেকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সোহেল নামে একজনকে আটক করি,” যোগ করেন এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন।
সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি ও তিন কনস্টেবল আহত হয়েছেন এবং সবাই শহরের খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, “যারা সামান্য বিষয় নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে মারধর করে তারা সাধারণ নয়। তাদের দ্বারা এলাকাবাসী নির্যাতিত হয়। এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।”
Comments