‘ভাবিনি বেঁচে ফিরতে পারব’

ছবি: পলাশ খান

তিন ঘণ্টা আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বনানীর এফআর টাওয়ার থেকে বেঁচে ফিরে ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা দ্য ডেইলি স্টারকে শুনিয়েছেন বাদশাহ ফয়সাল। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে যখন আগুন লাগে তখন ২২ তলা ভবনটির ১২তম তলায় অফিসে বসে কাজ করছিলেন তিনি।

পুরো ভবন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যেতেই তিনি সবার আগে তার বাবাকে ফোন করেন। “আব্বা বললেন, বিল্ডিং থেকে লাফ দিবে না। ছাদে চলে যাও।”  কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বিছানায় শুয়ে কথা বলছিলেন ফয়সাল।

ঢাকার বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল বলেন, “ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ঘন ধোঁয়ায় কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না নিঃশ্বাসও নেওয়া যাচ্ছিল না। আগুনের আঁচে চামড়া পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল। শুধু মনে হচ্ছিল এই আগুন থেকে পালাই কিভাবে।”

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বিছানায় বাদশাহ ফয়সাল। ছবি: শাহীন মোল্লা

ফয়সাল জানান, ছাদে যেতে না পেরে আরও চার জনের সঙ্গে ১২তলার এক কোনায় গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। উদ্ধার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার আশা নিয়ে বাকি সবকিছু অদৃষ্টের ওপর ছেড়ে দেন তিনি।

প্রায় তিন ঘণ্টা পর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে অন্য চারজনের সঙ্গে ফায়ার ফাইটাররা ফয়সালকে নিচে নামিয়ে আনেন।

ধোঁয়াচ্ছন্ন পরিবেশে দীর্ঘ সময় বসে থাকায় একটু থেমে থেমেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাশছিলেন ফয়সাল। এফআর টাওয়ার থেকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসা অন্য আহতরাও শ্বাসজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত সবাই।

কিছুক্ষণ থামার পর ধরে আসায় গলায় ফয়সাল বললেন, “একবারের জন্যও মনে হয়নি বেঁচে ফিরতে পারব।”

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

10h ago